Swastika Ghosh: স্টার জলসা (Star Jalsha) -র জনপ্রিয় মেগা সিরিয়াল ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chonwa)। আর এই ধারাবাহিকে নায়িকা দীপার চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা ঘোষ (Swastika Ghosh)। ইতিমধ্যেই অভিনেত্রী হিসেবে মিষ্টি স্বস্তিকা দর্শকদের মন জয় তো করেইছেন। এবার ততোধিক মিষ্টি গলা দিয়েও সবাইকে মুগ্ধ করলেন তিনি। তার গান শুনে প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুগ্ধ অনুরাগীরা।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার রায়দিঘির মেয়ে স্বস্তিকা ঘোষ। সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা স্বস্তিকার অভিনয় কেরিয়ার শুরু ‘সরস্বতীর প্রেম’ সিরিয়ালের সঙ্গে, সেখান থেকেই স্টার জলসার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয়ের সুযোগ। অনুরাগের ছোঁয়ায় দীপার চরিত্রে অভিনয় করে বাঙালি দর্শকের একেবারে ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছেন স্বস্তিকা ঘোষ।
সম্প্রতি টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পুরস্কারও নিয়েছেন। জনপ্রিয়তা যখন আকাশ ছুঁয়েছে তখন সমাজমাধ্যমের পেজে আগুনের গতিতে ভাইরাল স্বস্তিকার সুরেলা কণ্ঠস্বর। তাকে দেখা গেছে একটি মাচা অনুষ্ঠানে গান করতে। যেখানে গান করতে গিয়েই অনেক অভিনেত্রী কটাক্ষের স্বীকার হন সেখানেই প্রশংসিত হয়েছে দীপার গান।
প্রয়াত কিংবদন্তী শিল্পী লতা মঙ্গেশকরের গানে ভরা মঞ্চে তাক লাগালেন ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। প্রতিদান ছবির এভারগ্রিন গান ‘মঙ্গল দ্বীপ জ্বেলে’ গেয়ে সকলকে একেবারে চমকে দিয়েছেন পর্দার দীপা। সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের এই কালজয়ী গান দেয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন অনুরাগের ছোঁয়া খ্যাত স্বস্তিকা ঘোষ।
আসলে অভিনয়ে পা রাখলেও বাড়িতে ছোট থেকেই গানের মধ্যে থেকে বড় হয়েছেন স্বস্তিকা। পরিবারেও নাচগান, সংষ্কৃতির চর্চা রয়েছে তার। বাবা মা দুজনেই খুব ভাল গান করেন। সেই গুণ পেয়েছেন স্বস্তিকাও। শুধু তাই নয়। তিনি নিজে ভরতনাট্যমও শিখেছেন। কিন্তু এত গুন থাকার সত্বেও অভিনয় জগতে আসার জন্য তাকে খুব কষ্ট করতে হয়েছে।
এক সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা জানিয়েছিলেন, ‘রায়দিঘি থেকে বাবার সঙ্গে অডিশন দিতে আসতাম কলকাতায়। ট্রেনে করে আসতে সময় লাগত তিন ঘণ্টা আবার বাড়ি যেতে আরও তিন ঘণ্টা। এমনও অনেক দিন হয়েছে যে, বাড়ি ফিরতে পারিনি। দু’-তিন বার তো স্টেশনেই রাত কাটাতে হয়েছে।’
আরও পড়ুন : আর মিল হবে না, অ্যাক্সিডেন্টে মারা যাবে দীপা! ‘অনুরাগের ছোঁয়া’তে আসছে বড় টুইস্ট
তারপর এই অনুষ্ঠানের দিনই কিভাবে স্বস্তিকা সফল হলেন সেই প্রসঙ্গে বলেন, ‘কেউ চায় ইঞ্জিনিয়র হতে, কেউ চায় ডাক্তার হতে, কেউ চায় পুলিশ হতে। নিজের ইচ্ছে কী হতে চাও বড় হয়ে যেদিন বুঝতে পারবে, তাতে যদি পুরো ফোকাস করা যায়, একটু বেশিই মন দেওয়া যায়, তাহেল সাফল্য আসবেই। আমিও আমার স্ট্রাগলের সময় মা-বাবাকে খুব পাশে পেয়েছি। বাবা-মায়ের সাপোর্ট না থাকলে এত দূর আসা হত না।’
আরও পড়ুন : বাস্তবে মুখ দেখাদেখি বন্ধ! ফাঁস হল ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র সূর্য-দীপার ঝগড়ার চাঞ্চল্যকর কারণ