টিভির পর্দায় ‘অনুপমা’র ঘর ভেঙেছিল কাব্য। তবে বাস্তবে ‘অনুপমা’ নাকি নিজেই ঘরভাঙ্গানি! এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠল স্টার জলসার ‘অনুপমা’ সিরিয়ালের অভিনেত্রী রূপালী গঙ্গোপাধ্যায়ের (Rupali Ganguly) বিরুদ্ধে। শুধু অন্যের ঘর ভাঙ্গানো নয়, সেই সঙ্গে সতীনের গয়না চুরিসহ আরও গুরুতর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে এনেছেন তার স্বামীর প্রথম পক্ষের মেয়ে। শুনেই অবাক ভক্তরা।
২০১৩ সালে রূপালী বিয়ে করেন অশ্বিন বর্মাকে। তবে রূপালীকে বিয়ে করার আগেও অশ্বিন দুবার বিয়ে করেছিলেন। দ্বিতীয় বিয়ে থেকে তার দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার ছোট মেয়ে এষা ২০২০ সালে সৎ মা রূপালির বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ আনতে থাকেন। এমনকি রূপালী নাকি রিয়া চক্রবর্তীর মত মারাত্মক, যার কারণে সুশান্ত সিং রাজপুতের জীবন হয়েছিল দুর্বিষহ। এমনটাই বলেছেন এষা।
এষা তার পোস্টে রূপালীকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন, ‘‘উনি দুর্বিষহ। কেউ কি রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়ের আসল গল্প জানেন? ওঁর সঙ্গে অশ্বিন কে বর্মার গত ১২ বছর ধরে প্রেম। উনি তখন বিবাহিত, দুটো মেয়েও আছে। ওই নিষ্ঠুর মনের মহিলা সব সময়ই চেষ্টা করে গিয়েছেন আমাকে আর আমার বোনকে বাবার থেকে দূরে রাখতে। তিনি সব সময় সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন না, তিনি আমার বাবাকে বিয়ে করে সুখী! তাই এই কথাগুলো জানালাম। উনি রীতিমতো আমার বাবাকে নিয়ন্ত্রণ করেন। মানসিক ভাবে অসুস্থ তিনি। আমি বাবাকে ফোন করলেই উনি চেঁচামেচি শুরু করেন, আমার মাকে ও আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। উনি অশ্বিনের পরিবারকে নষ্ট করেছেন। সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে রিয়া চক্রবর্তী যেটা করেছেন, উনিও আমার বাবার সঙ্গে সেটাই করেন। বাবাকে কী সব ওষুধ খাওয়ান।’’
আরও পড়ুন : বিয়ের ৮ মাসেই মা হলেন শ্রীময়ী চট্টরাজ! ছেলে হল না মেয়ে?
আরও পড়ুন : শরীরে বাসা বেঁধেছে কঠিন অসুখ! ইন্দ্রাণী হালদারকে এখন দেখলে চিনতে পারবেন না
এখানেই শেষ নয়। রূপালীর বিরুদ্ধে এষা তার মায়ের গয়না চুরির অভিযোগ করেছেন। তার জন্যই তাদের দুই বোন এবং মাকে চরম অর্থ কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন এষা। রূপালী তাদের শৈশব শেষ করে দিয়েছেন, এভাবেই সৎ মায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। যদিও সৎ মেয়ের আনা সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রূপালী। এমনকি অশ্বিনও মেয়ের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার পাল্টা দাবী, বাবা ও মায়ের বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারেননি এষা। তিনি মানসিকভাবে আহত হয়েছেন। আর সেই কারণেই এখন রূপালীর বিরুদ্ধে এসব বলছেন।