অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, বর্তমানে বাংলাতে সংগীত দুনিয়াতে এই নামটা যথেষ্ট সুপরিচিত। সারেগামাপা ২০১৯ এর বিজয়ী হয়েছিলেন গোবরডাঙ্গার অঙ্কিতা। তখন সবেমাত্র স্কুলের গন্ডি পার হয়েছেন তিনি। গত ৫ বছরেই রীতিমত সেলিব্রেটি গায়িকাতে পরিণত হয়েছেন অঙ্কিতা। তবে এই পথে তার পথ চলাটা খুব একটা সহজ ছিল না। প্রতি পদে পদে অপমানিত হতে হয়েছে তাকে। সম্প্রতি অঙ্কিতা তার জার্নির কথা তুলে ধরলেন জোশ টকসের মঞ্চে।
অঙ্কিতা বলেছেন যখন তিনি গান নিয়ে এগোতে চান তখন অনেকেই তাকে বলেন গান গেয়ে কী হবে? দুদিন বাদেই তো বিয়ে হয়ে যাবে। লোকের মুখে বারবার এই কথা শুনতে শুনতে অঙ্কিতার বাবারও হাই প্রেসার হয়ে যায়। আসলে অঙ্কিতার এলাকাতে তিনিই প্রথম যিনি পড়াশোনাকে সাইডে রেখে শুধুমাত্র গানটাকে লক্ষ্য রেখে এগোচ্ছিলেন। এটা তার আশেপাশের মানুষেরা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছিলেন না। অঙ্কিতার বাড়িতেও সকলে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার। সেই জায়গাতে মেয়ে গান নিয়ে এগোবে, এতে বেশ আপত্তি ছিল পরিবারের।
তবে সে যাই হোক অঙ্কিতা কিন্তু এসবে পাত্তা না দিয়ে মায়ের কাছেই গান শিখছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল বড় গায়িকা হওয়ার। আর সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য তিনি বিভিন্ন রিয়েলিটি শো তে অডিশন দিতে শুরু করেন। অঙ্কিতার বাবা ও মা বলেছিলেন, “তুই যা অডিশন দে আর চান্স পেয়ে গেলে তো ভাগ্যের বিষয়।” সেই থেকেই বাবার সঙ্গে অডিশন দিতে যেতে শুরু করেন অঙ্কিতা। মুম্বাইতেও ভাগ্যের পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গিয়ে বারবার বাদ পড়ে যাচ্ছিলেন অঙ্কিতা। ওই সময়টাতে তিনি সত্যিই খুব ভেঙে পড়েছিলেন।
আরও পড়ুন : একাধিক বিয়ে, স্ত্রীদের একসঙ্গে রাখতে চেয়েছিলেন! উদিত নারায়ণের জীবনে রয়েছে অনেক বিতর্ক
আরও পড়ুন : রাতারাতি ন্যাশনাল ক্রাশ হয়েছিলেন! কোথায় হারিয়ে গেলেন ‘সির্ফ তুম’ নায়িকা?
অঙ্কিতা তার এই জার্নিতে বাবা-মাকে পাশে পেয়েছিলেন ঠিকই তবে তার আশা ভঙ্গ করার মানুষের অভাব ছিল না। অনেকে তাকে ‘গ্রামের মেয়ে’ বলে খোঁটা দিতেন। তবে এসব অতিক্রম করে সারেগামাপার অডিশন দেন অঙ্কিতা এবং সিলেক্ট হয়ে যান। এই সারেগামাপা অঙ্কিতার জীবন বদলে দেয়। উইনার হওয়ার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। এখন তিনি এটা ভেবে আনন্দ পান যে যারা সেদিন বলতেন গান গেয়ে কী হবে, মেয়ের তো বিয়ে দিতে হবে। সেই ভুলটা ভেঙে দিতে পেরেছেন অঙ্কিতা।