নতুন বছরের শুরুতেই দুঃসংবাদ। বিয়ের এই মরসুমে যেখানে নতুন নতুন সংসার গড়ছে সেখানে বিয়ে ভাঙ্গার খবর দিলেন পরিচালক তথা গায়ক তথা অভিনেতা তথা জনপ্রিয় বাংলা ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দুর প্রতিষ্ঠাতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এবং তার স্ত্রী মধুজা বন্দোপাধ্যায়। ১৯ বছরের সংসার ভাঙছে তাদের। সোশ্যাল মিডিয়াতে এই খবর নিজেরাই শেয়ার করেন তারা। জানার পর থেকেই মন খারাপ ভক্তদের। যীশু সেনগুপ্ত এবং নীলাঞ্জনা শর্মার বিচ্ছেদ এমনিতেই টলিউডের হট টপিক হয়ে আছে এখনও। এরই মধ্যে অনিন্দ্য এবং মধুজাও বিচ্ছেদের খবর শোনালেন।
কেন ভাঙলো অনিন্দ্য এবং মধুজার সংসার?
বিয়ে ভাঙ্গার খবর প্রথম সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেন মধুজাই। তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখেন, “অনিন্দ্যর খুব ইচ্ছে ছিল ওর লেখা আর আমার ছবি দিয়ে জুজুর জন্য একটা ছোটোদের বই বের করবে। বিয়ের আগে থেকেই অনিন্দ্য আমার ছবি আঁকা পছন্দ করত। আমি লিখতেও খুব ভালোবাসতাম। চেয়েছিলাম লেখক বা শিল্পী হতে। কিন্তু ঘরে-বাইরে সমান তালে দীর্ঘ চোদ্দ বছর লড়ে দেখলাম ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। একা হয়ে যাচ্ছি।”
পাঁচ বছর আগের সেইসব দিনের কথা মনে করে মধুজা লেখেন, “নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিতে ২০১৯ সালে জুজুকে নিয়ে মুম্বই চলে এলাম। আমার সঙ্গে কোভিডও এল। কোভিড ভয় দিল, দুঃখ দিল, হতাশা, অপমান দিল কিন্তু ফিরিয়ে দিল ছবি আঁকা, লেখালেখি। ফিরিয়ে দিল নিজের কথা বলার সাহস। এক সময় বুঝতে পারলাম- বিয়ে মানে ফুল, আলো , যদিদং হৃদয়ং- কিন্তু সর্বোপরি এক আইনি বন্ধন। তাই আইনি পথেই বিচ্ছেদ কাম্য।”
মধুজা আরও লেখেন, “জানি অনিন্দ্য খুব কষ্ট পেয়েছে। আমিও পেয়েছি । আবার সত্যটা মেনে নিয়ে কোথাও একটা নির্ভরও হয়েছি। অনিন্দ্য আর আমি তাই আইনি পথে বিচ্ছেদে পা বাড়িয়েছি। আর কী আশ্চর্য- প্রায় ভাঙ্গার বেলায় আজ রোববারের-পাতায় ওর লেখা আর আমার আঁকা বের হলো। বিচ্ছেদ বিয়ের হয়েছে! জুজুর বাবা-মায়ের হয়নি। দাম্পত্যের হয়েছে- বন্ধুত্বের হয়তো না। তাই এক শিল্পী আজ অন্য শিল্পীকে জায়গা দিয়েছেন- আমি সম্মানিত!”
আরও পড়ুন : সেরা নায়ক-নায়িকা থেকে বর-বউ! জি বাংলা সোনার সংসারে কে কোন পুরস্কার পেল?
আরও পড়ুন : “বিছানায় এখনও সক্ষম!”, ৭৫ পেরিয়ে ২৫ এর ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন করলেন কবীর সুমন
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মধুজা কী করেন?
যেমনটা মধুজা নিজের সম্পর্কে বলেছেন তিনি নিজেও একজন শিল্পী। লেখালেখির পাশাপাশি ছবি আঁকার প্রতি তার খুব আগ্রহ রয়েছে। তিনি বেশিরভাগ সময় মুম্বাইতেই থাকেন। অনিন্দ্য এবং তার একটি সন্তানও আছে। বাবা-মায়ের ডিভোর্সের পর সে মায়ের সঙ্গেই থাকে।