কবীর সুমন (Kabir Suman), যার গান মুগ্ধ করেছে বেশ কয়েকটি প্রজন্মকে। তার গান গেয়ে তারকা হয়েছেন অনেকে। অথচ এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে তাকে নিয়ে সমালোচনার ছড়াছড়ি। ‘চটি চাটা’ বলে বারবার সমালোচনা হচ্ছে তাকে নিয়ে। তবে এতে কোনও আফসোস নেই গায়কের। বরং তিনি মাথা পেতে নিয়েছেন এই সমালোচনা। উল্টে সগর্বে বলেছেন, তিনি ‘চটিচাটা’। আর এতেই ফুঁসে উঠেছেন আরেক গায়ক অনিন্দ্য বোস (Anindya Bose)।
সম্প্রতি কবীর সুমন সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করেন। তাতে তিনি লেখেন, “আমার বেজন্ম আর বেসুরের নামে আমি কবুল করছি যে আমি চটি চাটা”। এটা দেখে খুবই আহত হয়েছেন তার গুণগ্রাহী অনিন্দ্য বোস। ফেসবুকে কবীর সুমনকে উদ্দেশ্য করে খোলা চিঠি দিয়েছেন তিনি। পাল্টা জানিয়েছেন, কবীর সুমনের গান তিনি কোথাও গাইবেন না।
ফেসবুকে কবীর সুমন সম্প্রতি একটি বিস্ফোরক পোস্ট করেন। তাতে লেখেন, “ইদি আর্দি ইমারৎ খেসারৎ দলিল দস্তাবেজ, কবুলনামা। আমার বেজন্ম আর বেসুরের নামে আমি কবুল করছি যে আমি চটিচাটা।চটিচাটা ছিলাম আছি থাকব। চ টি চা টা চ টি চা টা চ টি চা টা ৷ আশা করি এই রাজ্যের বিপ্লবী বিদ্রোহীরা কেউ এই চটিচাটার কোনও গান গেয়ে বা গানের কোনও অংশ উদ্ধৃত করে নিজেদের কলুষিত করবেন না।”
এরপর অনিন্দ্য বোস কবীর সুমনকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, “সুমন চট্টোপাধ্যায় বা কবীর সুমন অথবা সুমনদা-কে লেখা আমার একটি ব্যক্তিগত খোলা চিঠি….. সুমন দা, আমার এই দীর্ঘ চিঠির সঙ্গে আপনার ‘কবুলনামা’ নামের যে লেখাটি আমি পোস্ট করছি, আমি জানি না সেই লেখাটি আদৌ আপনার কি না ৷ সোশাল মিডিয়া এমনই এক প্ল্যাটফর্ম যেখানে সত্য, মিথ্যা, অর্ধসত্য সব রকমের লেখা, সংবাদ, ভিডিয়ো বা তথ্য মিলেমিশে একই সঙ্গে ঘুরে বেড়ায়! যাই হোক,আবার বলছি এই লেখার সত্যতা যাচাই করার মত কোন উপায় আমার নেই ৷ তবে যদি এই লেখা আপনারই হয়ে থাকে তাহলে মাননীয় সুমনবাবু, কিছু কথা আপনাকে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে৷”
আরও পড়ুন : “রেপ-টেপ সব জায়গাতেই হয়!”, সৌরভ গাঙ্গুলীর পর এবার বেফাঁস মন্তব্য ডোনার
এরপর অনিন্দ্য জানান তিনি কবীর সুমনের অনেক বড় ভক্ত ছিলেন। মনে করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সলিল চৌধুরী, হেমাঙ্গ বিশ্বাসের পর বাংলার বলিষ্ঠ কবিয়াল হলেন কবীর সুমন। তিনি বাংলার বিরল প্রতিভা। তার ব্যক্তিত্ব আকর্ষণ করত ভক্তদের। কিন্তু একটা সময় পর অহংকারী হয়ে ওঠেন কবীর সুমন। তারপর থেকেই তার অধঃপতনের শুরু।
আরও পড়ুন : “দশমীর মধ্যে ন্যায়বিচার না পেলে…!” সুপ্রিম নির্দেশের পর মুখ খুললেন অপরাজিতা আঢ্য
এরপর অনিন্দ্য লেখেন, “প্রায় চার-পাঁচ ঘন্টার ওপর হয়ে গেল আপনাকে এই খোলা চিঠি লিখছি ৷ প্রকাশ্যে সেই চিঠি পোস্টও করব ৷ আমার জীবনের এতটা সময় আজ আপনার জন্য ব্যয় করলাম কারণ আপনাকে এই কথাগুলো আমার বলার ছিল ৷ আপনার গান আর জীবনে কোনদিনও গাইব না ৷ কোথাও না! না, কোন রাগ বা ঘেন্না থেকে নয় ৷ এক তীব্র অভিমান থেকে ৷ বুঝেছেন? তাকে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা বলে! ভাল থাকবেন আমার একদা প্রিয় পিতৃতূল্য ‘নাগরিক কবিয়াল’আমি চাই এই চিঠি আপনার কাছে পৌঁছাক ৷ ইতি-অনিন্দ্য।”