সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যানিম্যাল ছবিটিকে নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে গোটা দেশজুড়ে। ছবির সিনেমাটোগ্রাফি, অ্যাকশন থেকে শুরু করে শুটিংয়ের স্থান সবই খুব পছন্দ হয়েছে দর্শকদের। বিশেষ করে বলবীর সিং এবং রণবিজয় সিংয়ের প্রাসাদপম বাড়িটিকে দেখলে যেন চোখ সরানো যায় না। তবে জানেন কি বাস্তবে এই বাড়ি আসলে বলিউডেরই এক সুপারস্টারের নিজস্ব বাংলো?
দিল্লি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এক বিলাসবহুল রাজপ্রাসাদ। যেখানে একসময় বাস করতেন পতৌদি নবাবরা। ১৯৩৫ সালে পতৌদির শেষ শাসক নবাব ইখতিয়ার আলি খান তার মনের মত করে তৈরি করেন এই পতৌদি প্রাসাদকে। তিনি ছিলেন বর্তমান বলিউড তারকা সেইফ আলি খানের ঠাকুরদা। এই বাড়িটি বর্তমানে শর্মিলা ঠাকুর এবং তার সন্তানদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
পতৌদি প্রাসাদের অন্দরমহলে কি কি রয়েছে?
প্রায় ১০ একর জমির উপর অবস্থিত এই প্রাসাদের অন্দরমহলে কি নেই? এতে রয়েছে ১৫০টি ঘর। একটা বিশাল বড় সুইমিং পুল, বড় বাগান, খামার, ঘোড়াদের আস্তাবল, সাতটা বেডরুম, সাতটা ড্রেসিংরুম, বিলিয়ার্ড খেলার জন্য সাতটা ঘর, একটা অনেক বড় ডাইনিং হল এবং ড্রয়িং হল। প্রাসাদের আনাচে-কানাচে ফুটে উঠেছে ঔপনিবেশিক স্থাপত্য, ভারতীয় এবং ইসলামিক শৈলীর কারুকার্য।
বর্তমান বাজারদর অনুসারে এই পতৌদি প্যালেসের মোট মূল্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। প্যালেসের অন্দরমহল সাদা মার্বেলে ঢাকা। আর প্রাসাদের বাইরেটা ঘন সবুজ মাঠ এবং গাছপালা দিয়ে ঘেরা। এই বাড়ির দেখাশোনার জন্য প্রায় ১০০ জনেরও বেশি কর্মচারী কাজ করেন। তারই একটা অংশ খুলে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ছবির শুটিংয়ের জন্য।
আরও পড়ুন : তৈমুরের আয়ার বেতন কত? টাকার অঙ্কটা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকেও লজ্জায় ফেলে দেবে
পতৌদি প্রাসাদের মালিকানা
উল্লেখ্য, পতৌদির অষ্টম নবাব তথা সেইফের ঠাকুরদা তার ছেলে তথা মনসুর আলি খানকে এই বাড়ি দান করেছিলেন। বাড়িটিকে নিমরানা হোটেলকে ভাড়া দিয়েছিলেন সেইফের বাবা। তবে এই হোটেল পরে বাড়িটিকে দখল করে নেয়। ২০১৪ সালে সেইফ আলি খান সমস্ত টাকা মিটিয়ে বাড়িটিকে আবার নিজের দখলে নেন। এরপর বাড়িটির কিছু অংশ নিজের মত করে সংস্কারও করিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন : নামেই নবাব! সইফের ৫০০০ কোটির সম্পত্তির কানাকড়িও পাবে না ছেলেমেয়েরা, কেন জানেন?
আরও পড়ুন : ২ দিনেই ১০০ কোটি! অ্যানিম্যাল সিনেমার তারকারা কে কত টাকা পারিশ্রমিক পেলেন?
অ্যানিমেল ছাড়াও এই ছবিগুলোর শুটিং হয়েছে পতৌদি প্যালেসে
এখন বর্তমানে সেইফ আলি খানের পরিবার মাঝে মধ্যেই ছুটি কাটাতে এখানে আসে। সেইসঙ্গে বাড়ির একটি অংশ জুড়ে চলে নানা ছবির শুটিং। শুধু অ্যানিমেল নয়, বলিউডের অনেক বড় বড় বাজেটের ছবির শুটিং হয়েছে এই প্রাসাদের অন্দরে। তার মধ্যে রয়েছে বীরজারা, মেরে ব্রাদার কি দুলহান, মঙ্গল পান্ডে থেকে শুরু করে হলিউডের ছবি ইট প্রে লাভ। শুটিংয়ের জন্য প্রাসাদের একটা অংশ ভাড়া দেওয়া হয় এখন।
আরও পড়ুন : তিন দিনে কত উপার্জন করল অ্যানিমেল? মোট কালেকশনের হিসেব ঘুরিয়ে দেবে মাথা