বলিউড (Bollywood) জগতের এক অন্যতম নাম অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। প্রায় পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে বলিউড মাতিয়ে রেখেছেন এই অভিনেতা। দু’শোরও বেশি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাকে। এখনও অভিনয় করছেন বিগ বি। বরাবরই এই অভিনেতাকে ভীষন পছন্দ করেন দর্শকেরা। কিন্তু জানেন কী এই কিংবদন্তি অভিনেতার শিক্ষাগত যোগ্যতা কী? এবার তা নিজের মুখেই স্বীকার করলেন অভিনেতা।
চলতি বছরেই ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র ১৫তম পর্বের সম্প্রচার শুরু হয়। এই পর্বের সঞ্চালনার দায়িত্বে রয়েছেন অমিতাভ বচ্চনের হতে। শোয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশ্নোত্তর পর্বের ফাঁকে ফাঁকে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিতে দেখা গিয়েছে অমিতাভকে। সেইরকমই ১১ অক্টোবর নিজের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কৌন বনেগা ক্রোড়পতির মঞ্চে নিজের জীবনে বিভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন অভিনেতা। আর তার সঙ্গে তিনি নিজের পড়াশোনা নিয়েও কথা বলেন।
এলাহাবাদের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম অমিতাভ বচ্চনের। বাবা ছিলেন বিশিষ্ট কবি হরিবংশ রাই বচ্চন। সাহিত্য, কবিতার মাঝেই বেড়ে ওঠা বিগ বি’র। তিনি এলাহাবাদের জ্ঞান প্রবোধিনী বয়েজ স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। এরপর তিনি নৈনিতালের ‘শেরউড কলেজ’ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন অভিনেতা। তার পর দিল্লির ‘কিরোরি মাল’ কলেজে স্নাতক পাশ করেন। বিষয় ছিল বিজ্ঞান।
এরপর তিনি চাকরির উদ্দেশ্যে চলে আসেন কলকাতায়। মহানগরীতে তিনি একটি জাহাজ কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন। আর তার সঙ্গে সঙ্গে তিনি থিয়েটারে যোগ দেন। এরপর ধীরে ধীরে তিনি অভিনয়কে ভালোবেসে ফেলেন। অভিনয়কে আরও ভালো ভাবে রপ্ত করার জন্য ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামাতে তিনি ভর্তি হন অভিনয় শেখার জন্য।
আসতে আসতে তিনি সিনেনায় অভিনয়ের প্রতি কৌতূহলী হয়ে পড়েন। এমনকি তিনি লন্ডন ভয়েজ অফ আমেরিকায় পড়াশোনা করেছিলেন ভয়েজ ট্রেনিংয়ের জন্য। বিগ বির কাছে প্রথম অভিনয়ের সুযোগ আসে ১৯৬৯ সালে। তার অভিনীত প্রথম ছবি ‘সাত হিন্দুস্তানী’ মুক্তি পেয়েছিল। যদিও নিজের জীবনের সাফল্য পেতে বেশ কয়েকবছর সময় লেগেছিল অভিনেতার।
আরও পড়ুন : বচ্চন পরিবারের সদস্যদের কার রোজগার কত? অমিতাভ, অভিষেক না ঐশ্বর্য কার সম্পত্তি বেশি?
আরও পড়ুন : শুধু জয়া আর রেখা নয়, এই ৩ অভিনেত্রীর প্রেমে হাবুডুবু খেতেন অমিতাভ বচ্চন
কারন অমিতাভ বচ্চনের প্রথম দিকে বেশ কয়েকটি ছবি পর পর ফ্লপ হয়। তারপর অভিনেতাকে কোনো পরিচালক কাজে নিতে চাইতেন না। এমনকি কোনো নায়িকাও সেইসময় অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না। তখনই অভিনেতার ভাগ্য ফিরে যায় ১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া জঞ্জীর ছবির মধ্যে দিয়ে। এরপর আর অভিনেতাকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন তিনি বলিউডে শাহেনশা হিসেবে পরিচিত।