আর জি কর ঘটনার প্রতিবাদে প্রতিবাদ মিছিল, ধর্ণা মঞ্চ থেকে শুরু করে রাত দখলে সর্বত্র গানে গানে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। বিভিন্ন গানের পাশাপাশি বেশ ভাইরাল হয়েছে একটি গান। ‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’, পথে ঘাটে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়াতে এই গান নিশ্চয়ই শুনেছেন আপনি? এই গানের গায়িকা কে জানেন? কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গানটির রচনা হয়? ভাইরাল এই গানের স্রষ্টা কে? আজ এসবই জানাবো আপনাদের।
“দেশটা তোমার বাপের নাকি, করছ ছলাকলা, সুযোগ পেলেই ধরছো চেপে জনগণের গলা, মনে রেখ যুদ্ধ করে রক্ত দিয়ে দেশ পেয়েছি, দেশ বাঁচাতে রক্ত দিতেও রাজি আছি, ভয় দেখিয়ে হবে না কাম…”, ভাইরাল এই গান কিন্তু এদেশীয় নয়। গানটির উৎস বাংলাদেশ। বাংলাদেশী গায়িকা নাজনীন আক্তার মৌসুমী চৌধুরীর কন্ঠে গাওয়া গানটি ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে এপার বাংলার আন্দোলনকারীদের মনেও।
এই গানটির সৃষ্টি মূলত বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের সময়। যখন কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ক্রমশ হাসিনা সরকার বিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয় তখন বাংলাদেশের মানুষের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছিল এই গান। এই গানের লেখক হলেন ইথুন বাবু। বাংলাদেশের মগবাজারের বাসিন্দা তিনি। বাউল গায়কের জন্য প্রসিদ্ধ এই জায়গা। নাজনীন আক্তার গানটি গাওয়ার পর তা ব্যাপক ভাইরাল হয়।
প্রথমবার বিএনপি মঞ্চে এই গানটি গাওয়া হয়। ব্যাপক ভাইরাল হয়ে যায় গানটি। যদিও যশোরের এক গায়িকার দাবি এই গানটি মঞ্চে তিনিই প্রথম গেয়েছিলেন। নাজনীন গানটিকে প্রথম রেকর্ড করেন। এত ভাইরাল গানের গায়িকা নাজনীন মৌসুমী নওগাঁর মেয়ে। এই গান গাওয়ার জন্য তাকে ঘরছাড়া হতে হয়েছে। তবুও তিনি হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার।
বর্তমানে আরজিকর কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গেও এই গান শোনা যাচ্ছে। প্রতিবেশী অসম রাজ্যে এই গানের অহমিয়া ভার্সন গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী আলতাফ হোসেন। প্রশাসনের অভিযোগ তার এই গানের কারণে সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছে। বাংলাতে এই গান শোনা গেলেও এখনো পর্যন্ত গানের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।