গত রবিবার রাত থেকেই তোলপাড় হয়ে রয়েছে টলিউড। ঠাকুরপুকুর দুর্ঘটনায় রীতিমত লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির। যেভাবে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে ৬ জনকে পিষে দিয়েছেন পরিচালক ভিক্টো দাস সেই ঘটনায় শিহরিত গোটা বাংলা। পাঁচজন যখন এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। ঘটনার পরেই গ্রেফতার হয়েছেন ওই পরিচালক কারণ গাড়ির স্টিয়ারিংয়ের সিটে তিনিই বসেছিলেন। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে ফুঁসছে গোটা টলিউড।
কে এই ভিক্টো দাস?
যে কান্ড ঘটিয়েছেন ভিক্টো, তাতে তিনি অভিনয় দুনিয়ার কাউকেই নিজের পাশে পাচ্ছেন না। অথচ তিনি কিন্তু টলিউডের বেশ দাপুটে একজন ব্যক্তিত্ব। তার আসল নাম সিদ্ধান্ত দাস। তিনি ধারাবাহিকের একজন সফল পরিচালক বলে পরিচিত। রাজ চক্রবর্তীর প্রোডাকশন হাউজের সিরিয়াল গোধূলি আলাপ যেটি স্টার জলসায় সম্প্রচারিত হত তার পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। বর্তমানে সান বাংলার ভিডিও বৌমা ধারাবাহিকটিও তিনি পরিচালনা করছেন। এই সিরিয়ালের টিআরপি ভালো উঠেছিল বলেই ওই রাতে পানশালায় সেলিব্রেট করতে গিয়েছিলেন পরিচালকসহ ধারাবাহিকের কলাকুশলীরা। আর তারপরেই এই বিপত্তি।
ভিক্টো দাসের প্রাক্তন স্ত্রী কে?
ভিক্টো বিবাহিত। অবশ্য প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। তার প্রথম স্ত্রী হলেন অনিন্দিতা রায়চৌধুরী যিনি বাংলা সিরিয়ালে অভিনয় করেন। অনেক জনপ্রিয় সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন অনিন্দিতা। বর্তমানে তাকে তেঁতুল পাতা সিরিয়ালে সিরিয়াল পিসির চরিত্রে দেখা গিয়েছে। ডিভোর্সের পর তিনি সুদীপ সরকারকে বিয়ে করেছেন এবং সদ্য মা হয়েছেন। ভিক্টো দীর্ঘদিন ধরেই মাদকাসক্ত ছিলেন। স্টুডিওপাড়ার নায়িকাদের মধ্যেও তাকে নিয়ে চাপা অসন্তোষ রয়েছে। এই ঘটনার পর তার প্রাক্তন স্ত্রী অনিন্দিতা দাসও সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখেন “সত্যি কখনও চাপা থাকে না।”
আরও পড়ুন : প্রসেনজিৎকে নয়, এই তারকা ক্রিকেটারকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন দেবশ্রী রায়
আরও পড়ুন : অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতে এসেও সফল হয়েছেন এই তারকারা
তবে ভিক্টোর কিন্তু আরেকটি পরিচয় আছে। যেটা নিয়ে বর্তমানে বেশ চর্চা চলছে। তিনি টলিউড পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর ভাগ্নি মিষ্টি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন এখন। বিগত প্রায় তিন বছর ধরে তাদের মধ্যে রিলেশন চলছে। রাজের গোধূলি আলাপ সিরিয়ালের পরিচালনা তিনিই করেছিলেন। আবার এই পরিচালনার জন্যই তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে।