প্রতি রাতে স্বামীর নির্যাতন, ৩৮ বছরেই মারা যান বলিউডের প্রথম মহিলা সুপারস্টার

Meena Kumari Death : মীনা কুমারী (Meena Kumari), বলিউড (Bollywood) -র ট্রাজেডি কুইন। তার বাস্তব জীবনের গল্পটাও সিনেমার থেকে কিছু কম ছিল না। জন্মের পর থেকেই তার জীবনের পরতে পরতে নানা ট্রাজেডিক ঘটনা ঘটেছে। আপনজনদের থেকেই তিনি সব থেকে বেশি আঘাত পেয়েছেন বারবার। তিনি ছিলেন বলিউডের প্রথম মহিলা সুপারস্টার। কিন্তু তার গোটা জীবনটাই ছিল দুঃখে ঘেরা।

Meena Kumari Biography

১৯৩৩ সালের ১লা আগস্ট মীনা কুমারী জন্ম নিয়েছিলেন বাবা আলী বক্স এবং মা ইকবাল বেগমের ঘরে। কিন্তু জন্মের পরপরই তার বাবা তাকে অনাথ আশ্রমে রেখে আসেন। তিনি আসলে পুত্রসন্তান চেয়েছিলেন। পরে মীনার মা ইকবাল বেগম স্বামীর কাছে অনুরোধ করলে সদ্যোজাত সন্তানকে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হন আলী বক্স।

Meena Kumari

মীনার পরিবার এতটাই অভাবগ্রস্ত ছিল যে মাত্র চার বছর বয়সে উপার্জনের তাগিদ দেখা দিয়েছিল তার মধ্যে। ধীরে ধীরে তিনি বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ সুনাম পেতে থাকেন। সৌন্দর্য এবং অভিনয় গুণে তিনি পাঁচের দশকের সেরা অভিনেত্রী হয়ে উঠেছিলেন। নামযশের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়েছিল তার সম্পত্তি। তখনকার সময়ে তিনিই ছিলেন একমাত্র অভিনেত্রী যিনি ইম্পালায় চড়ে ঘুরে বেড়াতেন।

মীনা কুমারীর কাছে বেশ কয়েকটি দামি গাড়ি এবং বেশ কিছু সম্পত্তি ছিল বলে শোনা যায়। তিনি বিয়ে করেছিলেন পরিচালক কমল আমরোহিকে। কিন্তু কমল বিয়ের পরপরই মীনা কুমারির উপর অত্যাচার চালাতেন। স্ত্রীকে ন্যূনতম সম্মান করতেন না কমল। এমনকি তিনি মদ্যপ অবস্থায় প্রতি রাতে বাড়ি ফিরে মীনাকে মারধর করতেন। অনেক সহ্য করার পর মীনা স্বামীকে ছেড়ে তার বোনের বাড়িতে চলে যান।

Meena Kumari

মীনা কখনও তার সম্মানের সঙ্গে আপোষ করেননি। শোনা যায় বলিউডের একজন প্রখ্যাত পরিচালক মীনাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাতে রাজি না হওয়াতে ওই পরিচালক শুটিংয়ের নামে একটি দৃশ্যের জন্য মীনাকে ৩১ বার চড় খেতে বাধ্য করেন। প্রত্যেকটা চড় খুবই কঠিনভাবে মারা হয়েছিল মীনা কুমারিকে। ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনের একের পর এক ধাক্কা তাকে মদের নেশায় ডুবে যেতে বাধ্য করে।

Meena Kumari

আরও পড়ুন : শাহরুখ নন, গৌরী খানের প্রথম স্বামী আসলে কে? জানলে ঘুরে যাবে মাথা

অতিরিক্ত মাদকাসক্তি মীনার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তিনি তার জীবনের শেষ সম্বলটুকুও হারিয়ে ফেলেছিলেন। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে মীনা কুমারীর যখন প্রয়াণ ঘটে তখন তিনি কর্পদকশূন্য। তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সে সময় ৩ হাজার ৫০০ টাকাও ছিল না তার পরিবারের হাতে। 

আরও পড়ুন : করিশ্মাকে ভালবেসে ঘাড়ধাক্কা খেয়েছিলেন! আজীবন বিয়েই করলেন না এই অভিনেতা