জি বাংলার নিম ফুলের মধুর পর এখন পরিণীতা, অভিনয়ে বারবার দর্শকদের মন জয় করে নিচ্ছেন সুব্রত গুহ রায়। গত তিন বছর ধরে যাকে দর্শকরা আবার ধ্যাষ্টামো জেঠু নামে চিনছেন। পর্দায় বেশিরভাগ সময় তাকে খল চরিত্র কিংবা একটু ডার্ক শেডে দেখা গেলেও বাস্তবে কিন্তু সুব্রত খুবই মাটির মানুষ। খুবই সাধারণ তার জীবনযাত্রা। বড় মাপের অভিনেতা হওয়া সত্বেও এতোটুকু বিলাসিতা নেই তার কিংবা তার পরিবারের।
সুব্রত গুহ রায়ের অভিনয় যাত্রা
একটা সময় একটি বেশ ভালো চাকরি করতেন সুব্রত গুহ রায়। মাস গেলে মোটা মাইনে পেতেন। কিন্তু অভিনয়ের টানে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। নিশ্চিত রোজগারের জীবন ছেড়ে একেবারে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে পা বাড়ান আজকের ধ্যাষ্টামো জেঠু। তবে তার সেদিনের সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না তার প্রমাণ তিনি বহুবার দিয়েছেন। প্রথম প্রথম যখন তিনি অভিনয় শুরু করেন তখন সবে তার মেয়ে হয়েছে। তখন তার দৈনিক রোজগার ছিল ১৫০ টাকা। এরপর ছেলে হওয়ার পর তিনি একটি অভিনয়ের কাজের সুযোগ পান ১৫ দিনের জন্য। কিন্তু সেই ১৫ দিনের অভিনয়ের মেয়াদ পরে বেড়ে সাড়ে চার বছর হয়েছিল।
এরাও শত্রু সিরিয়ালের জন্য সুব্রত গুহ সব থেকে বেশি জনপ্রিয়তা পান। সেটাই ছিল তার টার্নিং পয়েন্ট। এরপর আর ঘুরে তাকাতে হয়নি তাকে। একটার পর একটা সিরিয়াল, টেলিফিল্ম করেছেন সুব্রত। দেখতে দেখতে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় দুই দশকের বেশি কাটিয়ে ফেললেন তিনি। এখন তিনি ইন্ডাস্ট্রির একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা। কিন্তু স্টারডম তার ব্যক্তিগত জীবনকে ছুঁতেও পারেনি। তিনি এবং তার পরিবার খুবই সাধারণ জীবন যাপন করেন এখনও।
আরও পড়ুন : মা হলেন মানসী সেনগুপ্ত! ছেলে হল না মেয়ে?
আরও পড়ুন : শুধুই পরকীয়ায় ঠাসা গল্প! ‘চিরসখা’র সমালোচনায় মুখ খুললেন লেখিকা লীনা গাঙ্গুলী
এই প্রসঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে সুব্রত এবং তার স্ত্রী বলেন তারা কখনও চাননি তাদের সন্তান ধনী ব্যক্তির সন্তানদের মত মানুষ হোক। সুব্রত বলেছেন, “আজকেও আমার ছেলে ছেঁড়া একটা টি-শার্ট পরে ঘুরে বেড়ায়।তার লজ্জা করে নতুন জামা পরতে।” এতটাই সরল এবং সাদাসিধে তার পরিবার। অভিনেতার চরিত্রের এই দিকটা জানতে পেরে তার প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা বেড়ে গেল ভক্তদের।