এতোটুকু বয়সেই এত নিখুঁত অভিনয়! ‘বাঘাযতীনে’র ক্ষুদিরাম আসলে কে?

এই মুহূর্তে টলিউড (Tollywood) -র প্রতিভাশালী তরুণ অভিনেতাদের অন্যতম হল সামিউল আলম (Samiul Alam)। এখন কৈশোর পেরিয়ে সদ্য যৌবনে পা রেখেছেন। এই অভিনেতা ‘সহজ পাঠের গপ্পো’ (Sahaj Paather Goppo) -র সুবাদে চর্চায় উঠে এসেছিলেন। বর্তমানে একাধিক ছবি, ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। এবার তাকে নাকি দেখা যাবে দেবের বাঘাযতীন (Bagha Jatin) -এ।

‘সহজ পাঠের গপ্পো’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১৬-তে। এই ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে সেরা শিশু অভিনেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন নুর ইসলাম এবং সামিউল আলম। একজন হল ছবির ‘ছোটু’ আর অন্য জন হলেন গোপাল। আর এই গোপালের ভূমিকায় অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিল সামিউল।

Samiul Alam

সামিউলের বাড়ি হলো বেড়াচাঁপায়। এখন সে কলেজে পড়ছে। তবে এর মধ্যেই সে অভিনয় জগতে নিজের প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছে। এমনকি সে তার প্রথম ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার জিতেছিল শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসাবে। আর এবার তাকে দেশের সর্বকনিষ্ঠ শহীদের ভূমিকায় সামিউল আলম। দেবের ‘বাঘাযতীন’-এ উঠে আসবে কমপক্ষে ৯২টি ঐতিহাসিক চরিত্র, যার অন্যতম ক্ষুদিরাম বসু।

বাঘাযতীনের সঙ্গে তার সংযোগ ও আন্দোলনের ইতিহাস উঠে আসবে ‘বাঘাযতীন’ ছবিতে। আর সেই ক্ষুদিরাম বসুর চরিত্রে অভিনয় করবেন সামিউল। যদিও এর আগে ‘নেতাজি’ ধারাবাহিকেও সামিউলকে দেখা গিয়েছে শহিদ ক্ষুদিরামের ভূমিকায়। তবে এই অভিনেতা রাজ চক্রবর্ত্তী পরিচালিত আবার প্রলয় সিরিজে পুরো অন্য ভূমিকায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

Samiul Alam

পুজোয় মুক্তি পাবে দেবের ‘বাঘাযতীন’, পরিচালনায় অরুণ রায়। আর শহীদ ক্ষুদিরাম বসু বাঙালির আইকন। পর্দায় তাকে জীবন্ত করে তুলতে কতটা ভয়ে রয়েছেন বছর উনিশের সামিউল? এই প্রসঙ্গে অভিনেতা জানালেন,’আমার কাছ যখন প্রথম এই অফারটা আসে, সেটা আমাকে শিহরিত করেছিল। উনি তো সবার অনুপ্রেরণা। ওনার মতো শহীদের চরিত্রে আমি অভিনয় করতে পারছি এটা ভেবেই আমি গর্বিত। আর আমাদের পরিচালক অরুণ রায় ক্ষুধিরাম সম্পর্কে সবটা আমাকে শিখিয়ে নিয়েছেন। যেমন পরিচালক বুঝিয়েছেন, আমি সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি’।

আরও পড়ুন : দ্বিতীয়বার বাবা হলেন বাংলার এই বিখ্যাত গায়ক, সন্তানের ছবিসহ দিলেন সুখবর

DEV BAGHA JATIN

আরও পড়ুন : মাত্র ১০ টাকায় ঘরেই করুন গোল্ড ফেসিয়াল, বেঁচে যাবে পার্লারের হাজার হাজার টাকা

এরপরেই সে তার রোজকার জীবন প্রসঙ্গে বলে, “আমি বেড়াচাঁপার স্কুলেই পড়াশোনা করেছি। এখনও সেই আগের মতোই গ্রাম থেকে ট্রেনে-বাসে কলকাতায় আসি। কোনও দিন রাত হয়ে গেলে আমি মানসকাকুর বাড়ি বারাসতে থেকে যাই। সেই পুরনো অভ্যাসই রয়ে গিয়েছে আমার। নুরের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। ও তো কিছু দিন আগে ‘সন্ধ্যাতারা’ সিরিয়ালে অভিনয়ও করল। এই কয়েক বছরে দর্শকের যে আমার অভিনয় ভাল লেগেছে, এটা ভেবে ভাল লাগছে।”