কাজ নয় ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েনেই সব থেকে বেশি চর্চায় থাকেন তিনি। বিয়ের পর একাধিক পরকীয়া, স্বামী থেকে প্রেমিক সকলকের কাছে এই ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা পাওয়া এই অভিনেত্রীকে স্কুল জীবনেই চরিত্রহীনা ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষিকা। জানেন কি এই অভিনেত্রী আসলে কে? আজ আপনাদের শোনাব হিন্দি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পবিত্র পুনিয়ার কথা। যাকে নেহা সিং নামেই চেনেন দর্শকরা।
১৯৮৬ সালে উত্তর প্রদেশের বাগপতে জন্ম নেন নেহা। তার বাবা ছিলেন পুলিশ কর্মী। পরিবার নিয়ে তিনি দিল্লিতে চলে আসেন। দিল্লিতেই বেড়ে ওঠেন নেহা। শেষ করেন স্কুল এবং কলেজের পড়াশোনা। কলেজে পড়তে পড়তেই তিনি মডেলিংয়ে চলে আসেন। ২০১০ সালে ‘গীত হুই সবসে পরায়ী’ সিরিয়ালের হাত ধরে তিনি প্রথমবার ক্যামেরার সামনে আসার সুযোগ পান। এরপর একে একে ‘লভ ইউ জিন্দেগি’, ‘হোগে জুদা না হম’, ‘ডর সবকো লগতা হ্যায়’, ‘ইয়ে হ্যায় মহব্বতে’, ‘নাগিন ৩’, ‘বালবীর রিটার্নস’ নামের একাধিক হিন্দি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
সিরিয়ালের পাশাপাশি ২০২০ সালের বিগ বস ১৪ তে অংশ নেওয়ার পর পবিত্রার জনপ্রিয়তা আরও বাড়ে। তবে পবিত্রাকে নিয়ে চর্চা শুরু হয় তার ব্যক্তিগত জীবনের বিতর্কের কারণেও। ২০১৫ সালে তিনি সুমিত মাহেশ্বরী নামের এক হোটেল ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন। সেই খবর অবশ্য গোপন রেখেছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু অভিনেত্রীর স্বামী অভিযোগ করেন তার স্ত্রী নাকি তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। বিয়ের পরেও নাকি তার সঙ্গে চারজন পুরুষের সম্পর্ক ছিল।
আরও পড়ুন : “বাথরুমে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ ছুঁয়ে…!” গ্ল্যামারাস দেখানোর গোপন সিক্রেট ফাঁস করলেন তামান্না ভাটিয়া
আরও পড়ুন : রাতারাতি ন্যাশনাল ক্রাশ হয়েছিলেন! কোথায় হারিয়ে গেলেন ‘সির্ফ তুম’ নায়িকা?
বিবাহ পরবর্তী সময়ে নেহার জীবনে আসেন পরশ ছাবরা, প্রতীক সহজপালের মত অভিনেতারা। পরশ তো সরাসরি একটি সাক্ষাৎকারে নেহার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি নাকি তার বিয়ের খবর লুকিয়েই তার সঙ্গে প্রেমের নাটক করে গিয়েছিলেন। আবার ২০২০ সালে যখন বিগ বসে অংশ নিয়েছিলেন নেহা তখন এজাজ খানের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ২০২৪ সালেই অবশ্য সেই সম্পর্কে ইতি জেনেছেন অভিনেত্রী। একবার একটি সাক্ষাৎকারে নেহা নিজেই বলেন স্কুলে পড়ার সময় শিক্ষকরা তাকে চরিত্রহীনা বলেছিলেন। এতে তার মনের উপর খুব প্রভাব পড়েছিল। তবে সে যাই হোক নেহা আপাতত সিঙ্গেল জীবন যাপন করছেন। নেহা একটি সাক্ষাৎকারে বলেন তার বাবা নেই, ভাই অসুস্থ। তিনি তার মাকে স্বামী এবং ছেলের জন্য অনেক কাঁদতে দেখেছেন। তাই তিনি আর বিয়েও করতে চান না।