রাম এবং রাবণ, সিনেমার পর্দায় দুই রূপেই ধরা দিয়েছিলেন তিনি। ১৭ বার শ্রীকৃষ্ণের রূপে ধরা দিয়েছেন ক্যামেরার সামনে। প্রত্যেকটি চরিত্রেই দর্শকদের মনে দাগ কেটেছিলেন। জানেন কে এই অভিনেতা? তিনি হলেন দক্ষিণী সুপারস্টার এনটিআর রামা রাও (N T Rama Rao)।
তেলেগু অভিনেতা এনটিআর রামা রাও ষাটের দশকের একজন অভিনেতা। তবে কয়েক দশক পেরিয়ে গেলেও সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে তার অবদান ভোলার নয়। ১৯৫৮ সালে তিনি ‘ভুকৈলাস’ ছবিতে রাবণের চরিত্রে দেখা দেন। তবে সেই ছবি একেবারেই চলেনি। ১৯৬১ সালে ‘সীতারাম কল্যাণম’ ছবিতে তিনি আবার রাবণের ভূমিকায় ধরা দেন। এবার তিনি সকলের নজর কাড়েন। ১৯৬৩ সালে ‘লব কুশ’ ছবিতে তিনি প্রথমবার শ্রীরামের ভূমিকায় ধরা দেন।
১৯৬০ থেকে ১৯৭০, মহাকাব্যের উপর নির্মিত বিভিন্ন ছবিতে তিনি কাজ করেছেন একনাগারে। এভাবেই তিনি তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। তেলেগু দর্শকদের কাছে তিনি দেবতা হয়ে ওঠেন। জায়গায় জায়গায় তার নামে মন্দির গড়ে উঠতে শুরু করে। ১৯৭০ সালেই তার ৬টির বেশি মন্দির বানানো হয়। অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গাতে রয়েছে এই মন্দিরগুলো। কোথাও রাম, কোথাও শ্রীকৃষ্ণ রূপে তার পুজো হয়।
আরও পড়ুন : ২৯ বছর ধরে সালমানের রক্ষাকবচ! ভাইজানের বডিগার্ডের বেতন শুনলে আকাশ থেকে পড়বেন
আরও পড়ুন : শুধু সালমান নন, লরেন্স বিষ্ণৌয়ের হিটলিস্টে এই তারকারাও আছেন
কিন্তু এন টি আর রামা রাও কখনও চাননি তাকে এইভাবে পুজো করা হোক। তারপরেও তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাকে দেবতার নজরেই দেখা হয়। ১৯৮২ সাল থেকে একটু একটু করে অভিনয় জগত ছাড়তে শুরু করেন রামা রাও। অভিনয় ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে পা রাখেন। তেলেগু দেশম পার্টিতে তিনি যোগ দেন। পরের বছর নির্বাচনে জয়লাভ করে তিনি মুখ্যমন্ত্রীও হন। ৩ বছর তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদে ছিলেন। ১৯৯৬ সালে জানুয়ারি মাসে মাত্র ৭২ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়। তার নাতি হলেন জুনিয়র এনটিআর যিনি বর্তমানে তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি কাঁপাচ্ছেন। তার অভিনীত আরআরআর, দেবরা : পার্ট ওয়ান সম্প্রতি গোটা বিশ্ব জুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এছাড়াও জুনিয়র এনটিআর এর আরও অনেক সুপারহিট ছবি আছে। ঠাকুরদার নাম উজ্জ্বল করছেন তিনি।