কানাডা থেকে তিনি যেদিন ভারতে এসেছিলেন সেদিন তার কাছে ছিল মাত্র ৫০০০ টাকা। ওই টাকা দিয়ে কীভাবে ভারতে জীবন অতিবাহিত করবেন সেদিন তা নোরা ফাতেহির (Nora Fatehi) কাছে ছিল একটা বড় প্রশ্ন। তবে কানাডা থেকে মুম্বাইতে এসে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই বলিউডের হট আইটেম ড্যান্সার হিসেবে নিজের একটা পাকাপাকি জায়গা গড়ে তুলেছেন তিনি।
নাচের মাধ্যমে বলিউডের সেরা অভিনেত্রীদেরও জনপ্রিয়তার বিচারে ছাপিয়ে গিয়েছেন নোরা। একসময় হোটেলে ওয়েট্রেস হিসেবে কাজ করতে হয়েছিল তাকে। সেই সময় গ্রাহকদের থেকে অনেক অপমানও সহ্য করতে হয়েছে নোরাকে। আজ নোরার বিলাসবহুল জীবনযাত্রা দেখলে চোখের পলক পড়বে না। বলিউডের ছবিতে মাত্র কয়েক মিনিট নাচের দৃশ্যে মুখ দেখিয়েই তিনি উপার্জন করছেন কোটি কোটি টাকা।
বাড়ি, গাড়ি, দামি ব্যাগ থেকে পোশাক, নোরার কাছে যা কিছু রয়েছে দেখলে তাক লেগে যায়। মুম্বাইতে তার কাছে একটি বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। নিজের উপার্জনের টাকা থেকে তিনি এই বাড়িটি কিনেছেন। কেনার পর নিজের মনের মত করে সাজাতে আরও ১০ কোটি টাকা বাড়ির পেছনে খরচ করেছেন নোরা। পিটার মারিনোকে দিয়ে নোরার বাড়ির ইন্টেরিয়র ডিজাইন করানো হয়েছে।
বলিউডের তারকাদের মত নোরার কাছেও রয়েছে একটি বিলাসবহুল ভ্যানিটি ভ্যান। যার দাম প্রায় ৫ কোটি টাকা। শুটিংয়ের জন্য এই ভ্যানিটি ভ্যানের ব্যবহার করে থাকেন নোরা। হ্যান্ড ব্যাগের প্রতি আলাদা দুর্বলতা রয়েছে তার। তাই বিশ্বের বেশ কিছু দামি হ্যান্ডব্যাগের সম্ভার রয়েছে তার কাছে। নোরার হাতের ৭ লাখ টাকা দামের হারমে বার্কিনস ব্যাগ অনেক সময় মিডিয়ার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।
এছাড়াও নোরার কাছে রয়েছে লুই ভিতোঁর ব্যাগ। সাধারণত এমন সব ব্যাগের দাম পাঁচ লাখ টাকা থেকে শুরু হয়। তবে একদিনেই যে তিনি সবকিছু পেয়েছেন এমনটা কিন্তু নয়। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে নিজের সংগ্রাম সম্পর্কে বলতে গিয়ে নোরা জানিয়েছেন কানাডা থেকে ভারতে এসে প্রথম দিকে তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল। সেই সময় তার হাতে বিশেষ টাকাও ছিল না।
২০১৭ সালে হার্ডি সান্ধুর মিউজিক ভিডিও “নাহ”-এ নেচে আইটেম ডান্সার হিসেবে প্রথমবার সাধারণের সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। “সত্যমেব জয়তে’ ছবির দিলবর গানে বেলি ডান্সিং এর পর তার জনপ্রিয়তা হু হু করে বাড়তে থাকে। বলিউডে বেলি ডান্সের প্রচলন করেছেন নোরা। বর্তমানে ছবিতে মাত্র কয়েক মিনিটের ভিডিওতে নাচ দেখানোর জন্য ৫০ লক্ষ টাকা করে পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন নোরা।