১৯৬০ সালে বলিউডে (Bollywood) মুক্তি পেয়েছিল কাল্ট ছবি ‘মুঘল এ আজম’ (Mughal E Azam)। আজ ৬০ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এই ছবিকে টেক্কা দিতে পারে এমন দ্বিতীয় ছবি আর হয়নি বলিউডে। অবশ্য এর কৃতিত্ব যায় ছবির নির্মাতা তথা পরিচালকের উপরে। ছবির পরিচালক কে আসিফের (K Asif) ব্যক্তিগত জীবনটাও কিছু কম বৈচিত্রপূর্ণ ছিল না।
‘মুঘল এ আজম’ ছবিটি বানাতে জীবনের তেরোটা বছর অতিবাহিত করে দিয়েছিলেন কে আসিফ। তার এই ছবি দৌলতে দিলীপ কুমার এবং মধুবালার কেরিয়ারের মোড় ঘুরে যায়। দিলীপ কুমারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তিনি ছিলেন দিলীপ কুমারের ভগ্নিপতি। তবে তার আগে আরও তিনবার বিয়ে করে নিয়েছিলেন তিনি।
কে আসিফ প্রথম বিয়েটা করেছিলেন তার নিজের মামীকে। তার প্রথম স্ত্রী সিতারা দেবী ছিলেন তার মামা নাজিরের স্ত্রী। এছাড়া সিতারা দেবী ছিলেন তৎকালীন সময়ের একজন অভিনেত্রী। কিন্তু তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক বেশিদিন টেঁকেনি। লাহোরে গিয়ে আসিফ দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। শোনা যায় এরপর সিতারা দেবী নাকি তাকে অভিশাপ দিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান।
এরপরে অবশ্য থেমে থাকেননি আসিফ। লাহোরে দ্বিতীয় বিয়ের পর তিনি সিতারা দেবীর বান্ধবী নিগারকেও বিয়ে করেন। তৎকালীন সময়ের আরেক অভিনেত্রী ছিলেন এই নিগার। এরপর তার নিজের ছবির নায়িকা মধুবালার সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় বলে জানা যায়। তবে মধুবালাকে তিনি বিয়ে করেননি।
আসিফ চতুর্থ বিয়ে করেছিলেন দিলীপ কুমারের বোনকে। সেই সূত্রে তিনি দিলীপ কুমারের ভগ্নিপতি হন। এই বিয়ের সুবাদে তিনি সবথেকে বেশি চর্চায় এসেছিলেন। এছাড়া জানলে অবাক হবেন গোটা জীবনে তিনি মাত্র দুটি ছবির পরিচালনা করেছিলেন। তার মধ্যে একটি ছিল ‘মুঘল এ আজম’।
এই ছবি বানাতে তৎকালীন সময়ে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। ছবির নির্মাণে কোনও খামতি রাখতে চাননি আসিফ। এই ছবিতে ব্যবহার করার জন্য ভারতীয় সেনার হাতি, ঘোড়া এবং সৈনিক ব্যবহার করেছিলেন তিনি। তার জন্য অবশ্য তৎকালীন সুরক্ষামন্ত্রী কৃষ্ণা মেননের অনুমতিও নিতে হয়েছিল তাকে।