মাত্র ২৮ বছর বয়সেই মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে অর্জন করেছেন সুনাম। মহিলা মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে বর্তমানে জয়া কিশোরীর (Jaya Kishori) জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তিনি তার জ্ঞান, আধ্যাত্মিকতা দিয়ে উদ্বুদ্ধ করেন সাধারণ মানুষকে। জানেন কি কলকাতার সঙ্গে কোন বিশেষ যোগসূত্র আছে তার? আজ আপনাদের শোনাবো গায়িকা তথা আধ্যাত্মিক বক্তা জয়া কিশোরীর ব্যক্তিগত জীবনের কিছু অজানা কথা।
জয়া কিশোরী এমনিতে তার আধ্যাত্মিক বক্তৃতার কারণে ট্রেন্ডে থাকেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে বর্তমানে ২ লাখের হ্যান্ড ব্যাগ ব্যবহার করাকে কেন্দ্র করে বেশ ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে। যিনি মানুষকে সাধারণ জীবন যাপনের কথা বলেন, অনাড়ম্বর থাকার পরামর্শ দেন, তিনিই আবার এত দামি জিনিস ব্যবহার করছেন! আসলে ফরাসি ব্র্যান্ড ডায়োরের ব্যাগ ব্যবহার করা নিয়ে এত বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে।
২৮ বছরের জয়া কিশোরীর জন্ম হয় ১৯৯৬ সালের ১৩ই জুলাই। তিনি একটি রাজস্থানী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম শিবশংকর শর্মা ও মায়ের নাম গীতা দেবী। জয়া কলকাতার মহাদেবী বিড়লা ওয়ার্ল্ড একাডেমী স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন। পরে তিনি বাণিজ্যে স্নাতক হন। কিন্তু ছোট বয়স থেকেই আধ্যাত্মিকতার প্রতি তার প্রবল আগ্রহ ছিল। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি আধ্যাত্মিক বক্তা এবং গায়িকা হিসেবে সুনাম অর্জন করে ফেলেন।
জয়া কিশোরীর প্রবচন অনুষ্ঠান খুবই জনপ্রিয়। তাকে ‘আধুনিক বিশ্বের মীরা’ বলেন ভক্তরা। সাধারণ মানুষের কাছে তিনি কিশোরীজি নামে পরিচিত। তার কন্ঠে শ্রীকৃষ্ণের ভক্তি কথা এবং গান সাধারণ মানুষ খুব পছন্দ করেন। ইউটিউবে অনেক ভিডিও আছে তার। ২০২১ সালের ২৪ শে জুলাই ‘জয়া কিশোরী মোটিভেশন’ নামের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল খুলেছিলেন তিনি। বর্তমানে তাতে ১০ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার আছেন। ইনস্টাগ্রামে ১ কোটিরও বেশি মানুষ তাকে ফলো করছেন।
বর্তমানে জয়া কিশোরীকে নিয়ে যখন এত বেশি সমালোচনা হচ্ছে তখন তারও জবাব দিয়েছেন তিনি। তার স্পষ্ট উত্তর, “আমি নিজে কিছু ত্যাগ করিনি, তাহলে আমি কীভাবে কাউকে তা করতে বলব? আমি প্রথম দিন থেকেই স্পষ্ট করেছি যে আমি কোনও সাধু বা সাধ্বী নই। আমার প্রবচনে যারা এসেছেন তারা ভালো করেই জানেন, আমি কখনও বলি না সবকিছুই মোহমায়া। এও বলি না যে অর্থ উপার্জন করবেন না বা সবকিছু ত্যাগ করুন।”
আরও পড়ুন : অভিষেকের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি সম্পত্তি ঐশ্বর্যর! কে কত টাকার মালিক?
আরও পড়ুন : সামান্থা, রশ্মিকা কেউ নয়! ‘পুষ্পা ২’তে অল্লুর সঙ্গে আইটেম নাচবেন এই সুন্দরী
জয়া আরও বলেছেন, “আমি একটি সাধারণ মেয়ে। সাধারণ ঘরে থাকি, পরিবারের সঙ্গে থাকি। আমি যুব সমাজকে কঠোর পরিশ্রম করার কথা বলি। অর্থ উপার্জন করে নিজের এবং পরিবারকে ভালো জীবন দেওয়ার কথা বলি। স্বপ্নপূরণের পরামর্শ দিই।” তিনি এও বলেছেন ডায়োরের যে মূল্যবান ব্যক্তি তিনি ব্যবহার করছেন সেটা তৈরিতে কোনও চামড়া ব্যবহার করা হয়নি। এটি একটি কাস্টমাইজড ব্যাগ। জয়া কখনও চামড়ার ব্যাগ ব্যবহার করেন না এবং করবেনও না বলে জানিয়েছেন।