সবজি বিক্রি, লিফলেট বিলি করে সংসার চালাতেন! ‘জি বাংলা’র নায়ক ঋত্বিকের জীবন যেন সিনেমা

জি বাংলার (Zee Bangla) ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ (Ei Poth Jodi Na Sesh Hoi) ধারাবাহিকের হাত ধরে প্রথমবার বাংলা টেলিভিশনের পর্দাতে পা রেখেছিলেন অভিনেতা ঋত্বিক মুখার্জী (Writwik Mukherjee)। সেখান থেকে আজ তিনি এই চ্যানেলের অন্যতম একজন জনপ্রিয় অভিনেতা হয়ে উঠতে পেরেছেন। ঋত্বিক নিজের অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন। তাই ওই সিরিয়ালটি বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ‘মন দিতে চাই’তেও (Mon Dite Chai) নায়কের ভূমিকাতে অভিনয় করছেন।

আজ বাংলা সিরিয়ালের নায়ক হিসেবে ঋত্বিক মুখার্জিকে এক ডাকে চেনেন দর্শকরা। তবে জানেন কি একটা সময় অনেক কষ্ট করে অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছাটাকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়েছিল তাকে? নিদারুণ পরিস্থিতির চাপে পড়লেও অভিনেতা হওয়ার স্বপ্নটাকে কখনও মরতে দেননি ঋত্বিক। অভিনেতা হতে গিয়ে তাকে অনেক কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে।

ঋত্বিক ছিলেন কলা বিভাগের ছাত্র। পাকাপাকিভাবে বাংলা সিরিয়ালের অভিনেতা হওয়ার আগে তিনি কিছু স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। নিয়মিত নাটক করতেন তিনি। তবে তাতে মনের খিদে মিটলেও পেটের ভাতের জোগাড় হচ্ছিল না। থিয়েটার করে মনের খিদে মেটাতে পারলেও সেখান থেকে উপার্জন হচ্ছিল না। তাই অভিনয় ছেড়ে দিয়ে কাজের খোঁজে যেতে হয়েছিল তাকে।

অভিনেতা জানিয়েছেন তিনি বেশ কিছু চাকরি করেছেন। কিন্তু কোথাও মন বসাতে না পেরে একের পর এক চাকরি ছেড়েও দিয়েছেন। একটা সময় কলেজে এবং স্কুলের বাইরে লিফলেট বিলি করতেন তিনি। কিন্তু দিনের শেষে যখন কোম্পানির মালিক তাকে প্রশ্ন করতেন কত অ্যাডমিশন হল? তখন উত্তরের পরিপ্রেক্ষিতে যে প্রতিক্রিয়া তিনি পেতেন তা মোটেই ভাল ছিল না।

অতি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে তিনি। করোনাকালীন সময়ে যখন চারদিকে লকডাউন চলছে ঠিক তখন তাকে বাড়ির সামনে সবজিও বিক্রি করতে হয়েছে। কিন্তু তার ভাগ্য ঘুরিয়ে দেয় জি বাংলা। ঋত্বিক একবার তার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন পুরনো দিনে ফিরে তাকালে আজ যে তিনি প্রথম সারির চ্যানেলের নায়ক সেটা মাঝে মাঝে তার নিজেরই বিশ্বাস হয় না।

বর্তমানে সিরিয়ালে অভিনয়ে প্রক্রিয়াটা তিনি দারুণ উপভোগ করেন। আনন্দবাজারের কাছে তিনি বলেছেন, “প্রতিটি কাজের আলাদা আলাদা ধরন থাকে। সিরিয়ালে অভিনয়ের আলাদা পদ্ধতি আছে। এই নতুন অধ্যায়ও বেশ উপভোগ করছি। নতুন সিরিয়ালেও দর্শক আমায় সমান ভালবাসা দিক, এটাই আশা করছি।”