মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হলেও কেন ভেঙে দেন সম্পর্ক? কারণ জানিয়ে মুখ খুললেন মমতা শঙ্কর

দীর্ঘ প্রায় ৪৭ বছর পর আবার বড় পর্দায় একসঙ্গে ধরা দিচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) এবং মমতা শঙ্কর (Mamata Shankar)। দেবের নতুন ছবি ‘প্রজাপতি’তে আবার দেখা যাবে এই জুটিকে। ভাগ্য সহায় থাকলে এই জুটিকে এতদিনে বাস্তবেও সত্যি সত্যিই আসল জুটি হিসেবে দেখার সুযোগ হত। তবে আচমকাই বদলে যায় সবকিছু। মমতা শঙ্কর এবং মিঠুন চক্রবর্তীর মাঝে বাস্তবেও গড়ে উঠেছিল একটা গভীর সম্পর্ক। তবে তা পরিণতি পাওয়ার আগেই ভেঙে যায়।

৫ দশক পর সেই ঘটনা সম্পর্কে আনন্দবাজারের কাছে মুখ খুললেন মমতা শঙ্কর। ৪৬ বছর আগে মৃণাল সেনের ‘মৃগয়া’ ছবিতে প্রথমবার একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন মমতা এবং মিঠুন। এই ছবির মাধ্যমেই প্রথমবার অভিনয় করার সুযোগ পান মিঠুন। তখন সালটা ছিল ১৯৭৫। তারপর কেটে গিয়েছে ৪৭টা বছর। এত বছর বাদে মিঠুনের সঙ্গে অভিনয় করার ক্ষেত্রে কিছুই অস্বাভাবিক ঠেকেনি মমতার কাছে।

মমতা শঙ্কর জানিয়েছেন তার মনে হচ্ছিল যেন এই তো সেদিন শুটিং করেছিলেন দুজনে একসঙ্গে। যেখানে কাজ করা ছেড়েছিলেন, সেখান থেকেই যেন আবার একসঙ্গে শুরু করলেন সবকিছু। বিয়ে ভেঙে গেলেও মিঠুনের পরিবারের সঙ্গে মমতা শঙ্করের পরিবারের যোগাযোগ অটুট রয়েছে আজও। মিঠুনের বোন এবং মায়ের সঙ্গে নিয়মিত কথাও হয় মমতার।

আর মিঠুনের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন? অভিনেত্রী জানিয়েছেন তার সঙ্গেও তার কোনও তিক্ততা নেই। মিঠুন তাকে আজও ভীষণ খ্যাপান এবং মজা করেন। মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে শুধু বিয়ে ঠিক হয় নয়, বিয়ের তারিখও নাকি ঠিক হয়ে গিয়েছিল। তবে শেষ মুহূর্তে গিয়ে তাদের বিয়েটা ভেঙে যায়। এরপর মমতা শঙ্কর বিয়ে করেন চন্দ্রোদয়কে। আজ তারা সুখী দম্পতি। সেদিন বিয়েটা ভেঙে গিয়েছিল বলে ভগবানকে ধন্যবাদ দেন মমতা।

মমতা শঙ্করের কথায়, “ওটা একটা অধ্যায় গিয়েছে জীবনে। সেটা হওয়াতে বোধ হয় আমি চন্দ্রোদয়কে আরও ভাল ভাবে চিনেছি, বুঝেছি। আরও বেশি ভালবাসতে পেরেছি। মানে, এটাই বোধ হয় ঈশ্বরের করা প্ল্যান। তাই এ দিকেও কোনও রকম তিক্ততা হয়নি। সেই অধ্যায়টা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমাদের বন্ধুত্বটা সুন্দর ভাবে রয়ে গিয়েছে। আমরা খুব ভাল বন্ধু। এখন মনে হয় এটা হওয়ার ছিল। এবং এইটাই হওয়ার ছিল।”

কেন ভেঙে যায় দুজনের সম্পর্ক? মমতা জানিয়েছেন মিঠুন নিজে একজন অভিনেতা হলেও মমতার নাচ করা, ছবি করা এগুলো পছন্দ করতেন না। মমতা বলেছেন, “ওর (মিঠুন) হচ্ছে যে, তুই শিখছিস শেখ। কিন্তু বউ হলে বাড়িতে থাকবে। যোগিতার বেলায়ও যেটা হয়েছে। ওর জন্য যোগিতাই ঠিক ছিল। আমার জন্য চন্দ্রোদয় ঠিক।” এত বছর পর তার মনে এই পুরনো সম্পর্ক নিয়ে আক্ষেপ নেই কোনও। বরং চন্দ্রদায়ের মত স্বামী পেয়ে তিনি তার স্বপ্নকে সফল করে তুলতে পেরেছেন।