দু-দুবার বিয়েতেও মেলেনি দাম্পত্য সুখ, ‘কসৌটি জিন্দেগি কে’ নায়িকার জীবন যেন সিনেমা

হিন্দি টেলিভিশনে (Hindi Telivision) স্টার প্লাসের (Star Plus) ‘কসৌটি জিন্দেগি কে’ (Kasouti Zindegi Key) একসময় ছিল তুমুল জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিক বাঙালি-অবাঙালি নির্বিশেষে গোটা দেশের মানুষ দেখতেন একসময়। অনুরাগ এবং প্রেরণার প্রেম, ভালবাসা, বিচ্ছেদ গোগ্রাসে গিলতেন দর্শকরা। এই সিরিয়ালের নায়িকা প্রেরণা ওরফে শ্বেতা তিওয়ারির (Shweta Tiwari) বাস্তব জীবনটাও সিনেমা কিংবা সিরিয়ালের থেকে কিছু কম নয়।

সিরিয়ালের নায়িকাদের জীবনে যেমন একাধিকবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়, শ্বেতাকেও তেমনি একবার নয় দুবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছিল। কিন্তু তিনি তার দাম্পত্য জীবন থেকে সুখ পাননি। প্রথমবার তিনি বিয়ে করেছিলেন ১৯৯৮ সালে রাজা চৌধুরীকে। ২০০০ সালে তাদের কন্যা পলকের জন্ম হয়। কিন্তু তারপর শ্বেতার জীবনে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যায়।

SHWETA TIWARI

মেয়ের জন্মের পর অভিনেত্রী ‘কসৌটি জিন্দেগি কে’ সিরিয়ালে অভিনয়ের সুযোগ পান। ২০০১ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বেস্ট টিআরপি নিয়ে চলেছিল এই সিরিয়ালটি। এদিকে কেরিয়ারের পাশাপাশি অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবনেও তখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। স্বামীর সঙ্গে ছোটখাটো ঝামেলা অশান্তি হতে শুরু করে তার। এমনকি রাজা তার গায়ে হাত পর্যন্ত তুলতেন।

জনপ্রিয়তার নিরিখে তখন শীর্ষে ছিলেন শ্বেতা। তবে রাজা সেভাবে সফল হতে পারছিলেন না। রাজা একাধিক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছিলেন শ্বেতা সিরিয়াল নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে তাকে মেয়ের দায়িত্ব নিতে হয়েছিল। তাকে মেয়ের দায়িত্ব নিতে হয়েছিল। সারাদিন মেয়েকে মানুষ করতেই তার সময় কেটে যেত। এদিকে আবার কসৌটি নায়ক সেজান খানের সঙ্গে শ্বেতার সম্পর্ক নিয়ে চর্চা শুরু হয়।

SHWETA TIWARI

২০০৭ সালে রাজার বিরুদ্ধে গার্হস্থ হিংসার অভিযোগ তুলে ডিভোর্সের মামলা দায়ের করেন শ্বেতা। রাজা তাকে ডিভোর্স দিতে রাজি না হলেও শেষমেষ তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। অভিনেত্রী এরপর ২০০৮ সালে ‘জানে কেয়া বাত হুয়ি’ সিরিয়ালে অভিনয় করেন। এখানে তার বিপরীতে ছিলেন অভিনব কোহলি। তারা একসঙ্গে প্রায় তিন বছর লিভ ইন করে ২০১৭ সালে বিয়ে করেন।

SHWETA TIWARI

দ্বিতীয়বার বিয়ের পর শ্বেতা এবং অভিনবের ছেলে রেয়াংশের জন্ম হয়। কিন্তু ২০১৯ সালে দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধেও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অভিনেত্রী। তার অভিযোগ ছিল অভিনব তাকে শারীরিকভাবে অত্যাচার করতেন। এমনকি তার মেয়ে পলকের প্রতিও দুর্ব্যবহার করতেন তিনি। এরপর অভিনবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে শ্বেতা বলেছেন তিনি অন্যায় কখনও সহ্য করবেন না। তিনি আত্মনির্ভরশীল তাই দুই সন্তানের দায়িত্ব তিনি একাই নিতে পারেন।