৮০ এর দশকে বলিউডের (Bollywood) অন্যতম সেরা অভিনেত্রী হয়ে উঠেছিলেন জয়াপ্রদা (Jayaprada)। বলিউডের তাবড় অভিনেত্রীদের পেছনে ফেলে দিয়ে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেত্রী হিসেবে আলাদাই এক পরিচিতি গড়ে উঠেছিল তার। নিজের কেরিয়ারের শীর্ষে ছিলেন বলিউডের এই সুন্দরী। কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবনে রয়ে গিয়েছে না পাওয়ার চরম এক আক্ষেপ।
খুব ছোট বয়সে একটি তেলেগু ছবিতে নাচের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন ছিলেন জয়াপ্রদা। তার বাবা ছিলেন একজন নামী প্রযোজক। প্রথম ছবিতে মাত্র তিন মিনিটের একটি নাচের সিকোয়েন্সির মাধ্যমে খাতা খুলেছিলেন জয়াপ্রদা। ওই ছবি থেকে পেয়েছিলেন মাত্র ১০ টাকা। এরপর ১৭ বছর বয়সে নায়িকা হিসেবে শুরু হয় তার পথ চলা। ক্রমে বলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন তিনি।
তামিল, তেলেগু, কন্নড় ভাষার ছবিতে সুনাম পাওয়ার পর তিনি চলে আসেন হিন্দি ছবিতে কাজ করার জন্য। এরপর দক্ষিণ এবং বলিউড সমানতালে সামলেছিলেন তিনি। প্রথম সারির নায়িকা হিসেবে তার বেশ সুখ্যাতিও ছিল। জয়াপ্রদা পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন ভাষাতে প্রায় ৫০ টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেন। বলিউডে কাজ করার সুবাদে প্রযোজক শ্রীকান্ত নাহতার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
শ্রীকান্ত এবং জয়াপ্রদার মধ্যে ছিল প্রণয়ের সম্পর্ক। কিন্তু শ্রীকান্ত আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন এবং তার তিন সন্তান ছিল। তবে শ্রীকান্তের প্রেমে এমনভাবে জড়িয়ে পড়েছিলেন জয়াপ্রদা যে সবকিছু জানা সত্ত্বেও ১৯৮৬ সালে তিনি শ্রীকান্তকে বিয়ে করেন। জয়া ভেবেছিলেন শ্রীকান্ত তার স্ত্রীকে ছেড়ে তার সঙ্গেই সংসার করবেন। কিন্তু শ্রীকান্ত তেমনটা কখনও করেননি।
জয়াপ্রদা কোনদিনও শ্রীকান্তের বাড়িতে জায়গা পাননি। তাদের এই সম্পর্ক আইনি স্বীকৃতি পায়নি। এমনকি বিয়ে করে ইন্ডাস্ট্রিতেও ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়তে শুরু করেছিলেন তিনি। একটা সময় পর তিনি অভিনয় ছেড়ে দেন এবং রাজনীতিতে মন দেন। শ্রীকান্তের থেকে যেমন স্ত্রীর মর্যাদা পাননি জয়া, তেমনই পাননি সন্তানসুখ। জয়ার ইচ্ছে থাকলেও শ্রীকান্তই নাকি সন্তান নিতে চাননি।
সেই কারণেই জয়াপ্রদা তার মাতৃত্বের সাধ পূরণ করতে নিজের বোনের ছেলেকে দত্তক নিয়ে নেন। শোনা যায় শ্রীকান্তের প্রথম স্ত্রী নাকি কখনও স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েতে আপত্তি জানাননি। জয়া এবং শ্রীকান্তর প্রথম স্ত্রীর মধ্যে নাকি সমঝোতা হয়েছিল শ্রীকান্ত তাদের দুজনকেই সমান সময় দেবেন। যদিও এই বিষয় নিয়ে কখনও মুখ খোলেননি তারা। তবে ভালবাসা পেলেও শ্রীকান্তর থেকে কখনও যোগ্য সম্মান কিংবা স্বীকৃতি পাননি জয়া।