দীর্ঘ ১৬ বছর পর হতে চলেছে ভারতের ১৬ তম জনগণনা। ২০১১ সালে সর্বশেষ আদমশুমারি হয়েছিল। তারপর এত বছর পেরিয়ে গেলেও আদমশুমারি করা যায়নি। তবে কেন্দ্র সরকার ২০২৭ সালে নতুন করে জনশুমারির কাজ শুরু করতে চলেছে। জনসংখ্যা, সাক্ষরতা, লিঙ্গ অনুপাত এবং শহর-গ্রামের বিভাজন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসবে এই রিপোর্টে। কবে থেকে শুরু হচ্ছে এই কাজ?
২০২৭ সালের আদমশুমারি
২০১১ সাল পর্যন্ত যে আদমশুমারি হয়েছিল সেগুলো ছিল হাতে লেখা। তবে ডিজিটাল ইন্ডিয়াতে ১৬ তম জনগণনার সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হবে জিপিএস ট্যাগিং, রিয়েল টাইম ড্যাশবোর্ড এবং কোড ভিত্তিক উত্তর মারফত। এই প্রথম ভারতের ডিজিটালভাবে জনগণনা হতে চলেছে। এই তথ্য পেতে মোটামুটি ৬ মাস সময় লাগবে। এই জনগণনার খাতে কেন্দ্রীয় সরকার ১৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
জনগণনা করবেন শিক্ষকরা
দেশের প্রায় ৩০ লক্ষ স্কুল শিক্ষককে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে। জেলা স্তরে জনগণনার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার সরকারি আধিকারিক। ৪৬ হাজার প্রশিক্ষণ কর্মী নিয়োগ করা হবে। এই গণনার সব ডেটা নির্দিষ্ট মোবাইল অ্যাপে নথিভুক্ত করা থাকবে।
কবে থেকে শুরু হবে জনগণনা?
২০১৭ সালের ১লা মার্চ থেকে জনগণনার কাজ শুরু হবে। ইংরেজি, হিন্দি, বাংলা, তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম সহ মোট ১৬টি ভাষাতে সব তথ্য নথিভুক্ত থাকবে জনগণনার জন্য বানানো মোবাইল অ্যাপে। জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মতো দেশের বড় সাব্বিত এলাকাগুলোর জন্য অবশ্য জনগণনার কাজ শুরু হবে ২০২৬ সালের ১ লা অক্টোবর থেকেই।
ডিজিটাল জনগণনার সুবিধা গুলো কী কী?
এই পদ্ধতিতে অনেক কম সময়ে জনগণনার কাজ করা সম্ভব হবে। ভুল ভ্রান্তিও কম থাকবে। নামের বানান, বয়স, কিংবা অন্য কোথাও ভুল থাকলে অ্যাপেই তা ধরা পড়ে যাবে। নতুন কোডিং সিস্টেমে তথ্য আরও নির্ভুল হবে। পরিবারের অবস্থান নির্ধারণে জিপিএস ব্যবহার করা হবে।
কীভাবে জনগণনা হবে?
এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেশের মানুষেরা নিজেরাই পোর্টালে বা অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য পূরণ করতে পারবেন। স্ব গননার পর একটি ইউনিক আইডি তৈরি হবে। গণনা হয়ে গেলে দশ দিনের মধ্যে একটি অস্থায়ী তথ্য প্রকাশিত হবে। ৬ মাসের মধ্যে চূড়ান্ত তথ্য চলে আসবে।
আরও পড়ুন : কত টাকা পর্যন্ত অনলাইন লেনদেনে চার্জ কাটে না? জানুন নতুন নিয়ম
এই জনগণনা কোন কোন কাজে লাগবে?
লোকসভার বিন্যাস, তপশিলি জাতি-উপজাতি সংরক্ষণ কোটা, রাজ্য, স্কুল, রেশন ইত্যাদি বিষয়ের তহবিল নির্ধারণে সুবিধা হবে। এছাড়া শিক্ষা স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গত ক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্যও আদমশুমারি প্রয়োজন।
আরও পড়ুন : প্রতিমাসে আয় হবে ৬০ হাজার টাকা! বাড়িতে বসান এই একটি মেশিন
জনগণনাতে কী কী প্রশ্ন করা হবে?
জনগণনার কাজে এসে কর্মীরা জানবেন আপনার বাড়ি কেমন সিমেন্টের নাকি মাটির। এছাড়া কটি শৌচাগার আছে, পানীয় জল কোথা থেকে আসে, বিদ্যুৎ সংযোগ আছে কিনা, কয়টি ফোন, কয়টি টিভি এবং বাড়িতে কয়টি যানবাহন আছে।