গানের ওপারে (Ganer Opare), বয়েই গেল (Boyei Gelo) থেকে কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha), বাসবদত্তা চ্যাটার্জী (Basabdatta Chatterjee) -কে সিরিয়ালপ্রেমী মানুষেরা খুবই পছন্দ করেন। অভিনেত্রী হিসেবে তিনি ভীষণ জনপ্রিয়। ঋতুপর্ণ ঘোষের গানের ওপারে সিরিয়াল দিয়ে তার বলিউডে আগমন হয়েছিল। এরপর তার দ্বিতীয় সিরিয়াল ছিল বয়েই গেল। তবে পরপর সিরিয়ালে অভিনয় করলেও কেন টলিউডে চান্স পেলেন না অভিনেত্রী?
বাংলা সিরিয়ালে নাম অর্জন করতে পারলে সরাসরি টলিউডের রাস্তা খুলে যায় অভিনেত্রীদের জন্য। কিন্তু সুচরিতার ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। তিনি বাংলা সিরিয়ালের অভিনেত্রী হয়েই রয়ে গেলেন। এখন আবার তাকে নায়িকার বদলে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। তবে জানেন কি ‘সুচরিতা’র হাতেও টলিউড নায়িকা হওয়ার সুযোগ এসেছিল?
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজের সম্পর্কে অনেক অজানা কথাই জানালেন বাসবদত্তা। তার বাবা একজন সাংবাদিক ছিলেন। তাই ছোটবেলা থেকে তারও বড় হয়ে সাংবাদিক হওয়ার ইচ্ছে ছিল। এইজন্য তিনি পড়াশোনা করছিলেন। কলেজে পড়ার সময় তার কাছে সিরিয়ালে অভিনয় করার প্রস্তাব আসে। সেই প্রস্তাবটি দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। তিনিও আর না করতে পারেননি।
গানের ওপারে ছিল তার প্রথম বাংলা সিরিয়াল। এই সিরিয়ালটি তাকে অনেক জনপ্রিয়তা এনে দেয়। তাই তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রথম সিরিয়াল থেকে তিনি যে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তা বেড়ে গিয়েছিল বয়েই গেল সিরিয়াল থেকে। এরপরই তার হাতে আসে টলিউডে কাজ করার প্রস্তাব।
তিনি জানাচ্ছেন সিরিয়ালে কাজ করতে করতে টলিউড সিনেমাতেও কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তার জন্য তাকে অডিশন দিতে হয়েছিল। কিন্তু ছোট পোশাক পরতে ও চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করতে তার বরাবর আপত্তি ছিল। তাই তার কাছে বেশ কিছু বড় পরিচালকের ছবিতে কাজ করার সুযোগ এলেও তিনি রাজি হতে পারেননি।
আরও পড়ুন : জীবনে এসেছে বহু প্রেম, তবুও কেন ‘সিঙ্গেল’ একেন বাবু? মুখ খুললেন অনির্বাণ
আরও পড়ুন : গুরুতর অসুস্থ অগ্নিদেব! সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ‘রান্নাঘরে’র সুদীপার স্বামী
এরপর দীর্ঘদিনের জন্য অভিনয় দুনিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন বাসবদত্তা। এর মধ্যে তার বিয়ে হয়েছে, গত বছর তিনি এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। ছেলে একটু বড় হতেই তিনি আবার সিরিয়ালে ফেরার কথা ভাবেন। তাকে সেই প্রস্তাব দেয় জি বাংলা। টলিউডে কাজের সুযোগ না হলেও সিরিয়ালে নিজের মনের মত কাজ করেই খুশি বাসবদত্তা।