রশ্মিকা মান্দানা কিংবা তৃপ্তি দিম্রিদের দিন শেষ। ভারতের নতুন জাতীয় ক্রাশ হিসেবে সকলের মন জয় করে নিলেন ‘বেবি জন’ (Baby John) সিনেমার এই অভিনেত্রী। বরুণ ধাওয়ান এবং কীর্তি সুরেশের সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাতে নজর কেড়েছেন ওয়ামিকা গাব্বি (Wamiqa Gabbi)। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জির প্রথম হিন্দি ওয়েব সিরিজ ‘জুবিলী’তেও সকলের নজরে পড়েছিলেন ওয়ামিকা। আজ আপনাদের শোনাব ওয়ামিকার জীবনের কিছু অজানা কথা।
ওয়ামিকার জন্ম পাঞ্জাবের চন্ডিগড়ে। তার বাবা গোবর্ধন গাব্বি একজন প্রসিদ্ধ লেখক। হিন্দি এবং পাঞ্জাবি ভাষার সাহিত্যে তার অবদান রয়েছে। ছোট থেকেই এমন শিল্পকলা চর্চার মধ্যে বড় হতে হতে ওয়ামিকার মধ্যেও সৃজনশীলতা গড়ে ওঠে। এর পাশাপাশি পড়াশোনাতেও তিনি ছিলেন মেধাবী। চন্ডিগড়ের সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল থেকে পড়াশোনা করে তিনি ডিএভি কলেজ চন্ডিগড় থেকে আর্টসের উপর গ্রাজুয়েশন করেন। এর সঙ্গে কত্থক নাচেও তিনি পারদর্শী। তবে পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গেই অভিনয় নিয়েও চর্চা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওয়ামিকা।
অভিনয় দুনিয়াতে খুব কম বয়সেই পা রাখেন ওয়ামিকা। যখন তার বয়স মাত্র ৮ বছর, তখন তিনি ‘সৌদে দিল্লান দে’ নামের একটি পাঞ্জাবির ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। ২০০৭ সালে শাহিদ কাপুর এবং করিনা কাপুরের ‘জব উই মেট’ সিনেমাতে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় করে তার সিনেমা ডেবিউ হয়। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৪। ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড করিনার তুতো বোনের ভূমিকায় ক্যামেরায় দেখা গিয়েছিল তার মুখ। এরপর একে একে ‘লাভ আজকাল’, ‘মৌসম’, ‘বিট্টু বস’ সিনেমাতে তিনি অভিনয় করেন। একটু বড় হওয়ার পর নায়িকার চরিত্রের জন্য অফার পেতে শুরু করেন তিনি। তবে হিন্দিতে নয়, একের পর এক পাঞ্জাবী সিনেমাতে অভিনয় করতে শুরু করেন তিনি। পাঞ্জাবি সিনেমার পাশাপাশি তামিল ও মালায়ালাম সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন ওয়ামিকা। দক্ষিণী দুনিয়াতে তার বেশ সুনাম গড়ে উঠেছিল। সেই সঙ্গে করোনার সময়ে ‘গ্রহণ’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে তিনি আরও বেশি জনপ্রিয়তা পান। তারপর ‘জুবিলী’ সিরিজে নিলোফারের চরিত্রে তিনি আরও বেশি সংখ্যক দর্শকের মন জয় করেন।
আরও পড়ুন : রূপে লক্ষী গুণে সরস্বতী, বলিউড সুন্দরীদের থেকে কোনও অংশে কম নন অল্লু অর্জুনের স্ত্রী
আরও পড়ুন : এই মেয়ের জন্যই আজও অবিবাহিত সালমান খান! প্রকাশ্যে এল সেই নারীর পরিচয়
তবে এই ‘জুবিলী’ সিরিজের জন্য তাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। আসলে ‘গ্রহণ’ সিরিজের পর আর সেভাবে কাজ পাচ্ছিলেন না ওয়ামিকা। জুবিলী সিরিজের জন্য বারবার স্ক্রিন টেস্টে গিয়েও তাকে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছিল। এবার তিনি ভেবেই নেন জুবিলী না পেলে তিনি অভিনয় ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন। পরে ওয়ামিকার ইনস্টাগ্রামের রিল ভিডিও দেখে মদ পরিবর্তন করেন পরিচালক বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে। এর ফলে ওয়ামিকা আরও একবার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হন।
জুবিলী সাফল্যের পর আবার ফুরসত মডার্ন লাভ চেন্নাইয়ের মত ওয়েব সিরিজ আসতে থাকে তার হাতে। ২০২৪ সালে ফের ‘বেবি জন’ সিনেমাতে ওয়ামিকাকে অন্য লুকে পাওয়া গেল। তার অভিনয় দেখে আরও একবার মুগ্ধ হলেন দর্শকরা। সেই সঙ্গে তার গ্ল্যামার দেখে তাকে নতুন ন্যাশনাল ক্রাশ বলছেন নেট নাগরিকরা।