আর জি কর (RG Kar Case) নির্যাতিতার জন্য বিচার চেয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার গোটা বাংলা। তারই মধ্যে বিধানসভায় অপরাজিতা বিল (Aparajita Bill 2024) পাশ করালো রাজ্য সরকার। তাতে ধর্ষণের চরম শাস্তির বিধান রয়েছে। দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪ নারী এবং শিশুদের সুরক্ষার জন্য আনা হয়েছে। ঠিক কী কী রয়েছে এতে?
ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ২০১২ সালের পক্ষ আইনের বিভিন্ন ধারায় সংশোধন করে আনা হয়েছে অপরাজিতা বিল। যেখানে ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধান দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ৬৪ নম্বর ধারা অনুসারে ধর্ষণের জন্য নূন্যতম ১০ বছরের কারাদণ্ড রয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানার কথাও আছে। কিন্তু অপরাজিতা বিলে সরাসরি ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। অথবা সারা জীবনের জন্য কারাদণ্ড।
অপরাজিতা বিল নিয়ে আগে থেকেই বেশ শোরগোল শোনা যাচ্ছিল। এই বিল অনুসারে ধর্ষণের জন্য চূড়ান্ত শাস্তি অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে সওয়াল করেছে রাজ্য সরকার। অপরাজিতা বিলে ধর্ষণের জন্য ফাঁসির বিধান রাখা হয়েছে। অথবা অভিযুক্ত যতদিন জীবিত থাকবেন ততদিন তাকে জেলেই থাকতে হবে। সেই সঙ্গে তাকে দিতে হবে জরিমানা।
এই বিলে উল্লেখ করা আছে, নির্যাতিতার ধর্ষণ এবং মৃত্যুর ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। যদি নির্যাতিতা কোমায় চলে যান, সেক্ষেত্রেও অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড হবে। দুটি ক্ষেত্রেই জরিমানার কথাও রয়েছে। তবে এই একই অপরাধের জন্য ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৬ নম্বর ধারায় অভিযুক্তের কেবল ২০ বছরের জেলের কথা রয়েছে। যাবজ্জীবন অথবা মৃত্যুদণ্ড, জরিমানার শাস্তিও রয়েছে ন্যায় সংহিতায়।
গণধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড বা আজীবন কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে অপরাজিতা বিলে। সেই সঙ্গে জরিমানার কথার উল্লেখ আছে। অন্যদিকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় ৭০ (১) নম্বর ধারা অনুসারে বলা হয়েছে গণধর্ষণের ক্ষেত্রে নূন্যতম ২০ বছরের কারাদণ্ড হবে। তবে শুধু ধর্ষণ নয়, মহিলা এবং শিশুদের উপর হওয়া অন্যান্য অত্যাচারের শাস্তির উল্লেখ রয়েছে এই বিলে।
আরও পড়ুন : এইভাবেই মেয়েদের সর্বনাশ করেন মায়েরা! ‘মিঠিঝোরা’য় ধরা পড়লো সমাজের বাস্তব চিত্র
আরও পড়ুন : যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত টলিউডের ৬০% পরিচালক! প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
অপরাজিতা বিলে বলা হয়েছে, মহিলাদের উপর অ্যাসিড হামলা চালালে যাবজ্জীবন হবে। মহিলাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে তদন্ত প্রক্রিয়াতেও দ্রুততা আনার কথা বলা হয়েছে এই বিলে। ন্যায় সংহিতায় যেখানে তিন সপ্তাহ থেকে দু মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার কথা বলা হয়েছে ও অতিরিক্ত ১৫ দিন ধার্য হয়েছে, সেখানে যৌন নির্যাতন এবং অ্যাসিড হামলার ক্ষেত্রে অপরাজিতা বিলে ৩০ দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া শেষ করার কথা বলা হয়েছে।