পরিচালকদের সঙ্গে ফেডারেশনের ঝামেলা কোনোভাবেই মিটতে চাইছে না। একের পর এক মিটিং করে চলেছেন পরিচালকরা। কিন্তু কোনভাবেই টেকনিশিয়ানদের মন পাওয়া যাচ্ছে না। যতদিন এই সমস্যা চলবে ততদিন পর্যন্ত শুটিংও এগোবে না। এর ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে স্টুডিও পাড়ায়। বন্ধের মুখে একের পর এক সিরিয়ালের শুটিংও। কী হবে এর ভবিষ্যৎ?
জি বাংলা, স্টার জলসার মত চ্যানেলগুলো প্রত্যেকদিন দশের বেশি ধারাবাহিকের শুটিং করে। কিন্তু টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে ঝামেলার কারণে শুটিং হচ্ছে না এখন। পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়কে ব্যান করা প্রসঙ্গে অনড় টেকনিশিয়ানের সদস্যরা। রাহুলের সঙ্গে কিছুতেই তারা কাজ করবেন না। এদিকে সোমবারেও প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জীর বাড়িতে পরিচালকদের মিটিং বসে। তাতেও সুরাহা বেরোচ্ছে না।
এদিন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে অন্ততপক্ষে ১২০ থেকে ১৩০ জন পরিচালক উপস্থিত হয়েছিলেন আলোচনার জন্য। সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যতদিন না পর্যন্ত ঝামেলা মিটছে পরিচালকরাও ফ্লোরে যাবেন না। তারা সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে চান। তারাও তাদের সম্মান নষ্ট করবেন না। এই অবস্থা শুধু সিনেমাগুলোর জন্য নয়, সিরিয়ালগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
যতদিন ধরে পরিচালকদের সঙ্গে টেকনিশিয়ান গিল্ডের সমস্যার সূত্রপাত হয়েছে ততদিন স্টুডিও পাড়াতে কাজ বন্ধ আছে। কোনও সিরিয়ালের শুটিং হচ্ছে না। এখন যেহেতু ধারাবাহিকগুলোর জন্য এপিসোড ব্যাঙ্কিং রয়েছে তার উপর নির্ভর করে আপাতত প্রতিদিন সম্প্রচার হবে বটে। কিন্তু তাও ফুরিয়ে আসছে। তাই অতি দ্রুত এর সমাধান না হলে সব পক্ষেরই লোকসান।
আরও পড়ুন : বাংলা ছবির এই অভিনেত্রী দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্র পণ্ডিতের নাতনি
আরও পড়ুন : প্রকাশ্য রাস্তায় যৌন হেনস্থার শিকার বাঙালি অভিনেত্রী! ঘটনা শুনলে শিউরে উঠবেন
পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায় সম্প্রতি কয়েকজন টেকনিশিয়ানকে নিয়ে বাংলাদেশ গিয়েছিলেন শুটিং করার উদ্দেশ্যে। তার এই পদক্ষেপ কার্যত টলিউডের নিয়ম বিরুদ্ধে বলে দাবি করছেন টেকনিশিয়ানরা। তাই তারাও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাহুল পরিচালক হিসেবে কাজ করলে তারা কাজ করবেন না। রাহুলকে ক্রিয়েটিভ প্রডিউসার হিসেবে দেখতে তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু রাহুলের পরিচালনায় তারা কাজ করতে রাজি নন। আর এখান থেকেই সব সমস্যার সূত্রপাত।