মাত্র কয়েক মাস আগেই মা হয়েছেন আলিয়া ভাট (Alia Bhatt)। ৩০ শে পা দিতেই এখন তিনি ৫ মাসের এক কন্যা সন্তানের মা। মা হওয়ার পর মহিলাদের শরীরে একাধিক পরিবর্তন আসে। বেশিরভাগ মহিলাই এই সময় হরমোনের প্রভাবে মোটা হয়ে যান। কিন্তু সন্তান জন্মের পরপরই নিজের পুরনো ফিগারে ফিরে আলিয়া চমকে দিয়েছেন।
নভেম্বরে মেয়ের জন্ম দিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে আলিয়া যখন প্রথমবার ডাবিং স্টুডিওতে গেলেন তখন তাকে দেখে চমকে গিয়েছিলেন সকলে। আলিয়া কীভাবে এত তাড়াতাড়ি মেদ ঝরিয়ে আগের মত স্লিম হয়ে গেলেন তা ভাবিয়েছে তার ভক্তদের। অবশেষে এই রহস্যের সমাধান করলেন অভিনেত্রী। জানালেন তার সিক্রেট ডায়েট প্ল্যান।
এমনিতে তারকাদের বিষয়ে সাধারণ মানুষের মনে অনেক রকমের ভাবনা থাকে। বেশিরভাগ মানুষ ভাবেন ডায়েটে তারা কত কিছুই না দেশি-বিদেশি খাবার খান হয়ত। কিন্তু আলিয়ার ডায়েট শুনলে চমকে যাবেন আপনিও। প্রতিদিন খুবই সাধারণ খাবার খেয়ে নিজেকে এমন ফিট রেখেছেন তিনি।
মেয়ের জন্মের পর থেকে একেবারে দেশি খাবারই থাকছে আলিয়ার প্লেটে। সাধারণ মানুষের মতই রোজ ঘি-ভাত খাচ্ছেন তিনি। আর তাতেই নাকি এত সুন্দর চেহারা পেয়েছেন তিনি। আলিয়া বলেছেন তিনি রোজ দুধ, দই এবং পনির খান। দুপুরে গরম ভাত, ডালের সঙ্গে গাওয়া ঘি থাকে তার পাতে। কোনওদিন শুধুই ঘি ভাত খেতে পছন্দ করেন তিনি।
এমনিতে ঘি-ভাত প্রধানত বাঙালিদের খুবই প্রিয় খাবার। গরম ভাতে আলু সেদ্ধ, ঘি এবং নুন হলেই হয়ে যায়। খিচুড়ি থেকে শুরু করে মাংস হোক বা মোচার ঘন্ট, সামান্য একটু গাওয়া ঘি যে কোনও রান্নার স্বাদ বদলে দেয়। কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই খাবার পাতে ঘি এড়িয়েই চলেন।
ঘি কিন্তু শরীরের অনেক উপকার করে। শুধু আলিয়া একা নন, শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কাপুরও নাকি ত্বকের লাবণ্যের জন্য রোজ সকালে এক চামচ গাওয়া ঘি খান। ঘি যেমন হজম শক্তি বাড়ায়, তেমন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে শরীরের ডিটক্সিফিকেশনের কাজে লাগে। আলিয়া, জাহ্নবীদের মত সুন্দর থাকতে হলে তাই ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শে ঘি অবশ্যই রাখুন রোজের ডায়েটে।