কাজ দেয় না টলিউড! খুবই করুণ অবস্থায় দিন কাটছে অভিনেত্রী সুস্মিতা চক্রবর্তীর

৫-১০ বছর আগেও বিভিন্ন বাংলা সিরিয়ালে চুটিয়ে কাজ করেছিলেন তিনি। মা, কাকিমা কিংবা শাশুড়ি মায়ের চরিত্রে তার অভিনয় দেখে দর্শকরা মুগ্ধ হয়েছেন বারবার। কিন্তু এখন আর সিরিয়ালের অভিনয় করতে দেখা যায় না সুস্মিতা চক্রবর্তীকে। এমনকি কোথাও তাকে সেভাবে দেখাই যায় না ক্যামেরার সামনে। কেন অভিনয় ছেড়ে দিলেন সুস্মিতা চক্রবর্তী? সত্যিই কি তিনি অভিনয় ছেড়ে দিয়েছেন নাকি টলিউড তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে?

থিয়েটার থেকেই বলতে গেলে সুস্মিতার অভিনয় জীবনের শুরুটা হয়। একটানা বহু বছর তিনি থিয়েটারে অভিনয় করেছিলেন। মাঝে অবশ্য কিছুদিন শিক্ষকতা করেছিলেন একটি স্কুলে। তারপর কর্পোরেট জবও করেন কিছুদিন। কিন্তু কিছুতেই মানসিক শান্তি পাচ্ছিলেন না। একটা সময় পর তাই সব ছেড়ে দিয়ে তিনি আবার অভিনয় দুনিয়াতেই ফিরে আসেন। তারপর সেখান থেকে শুরু হয় তার নতুন জার্নি। থিয়েটার করতে করতে তিনি একসময় বাংলা সিরিয়ালে কাজের সুযোগ পেয়ে গেলেন।

Susmita Chakraborty

আলেয়া, প্রতীক্ষা একটু ভালোবাসা, স্পন্দন, চাঁদ উঠল, কে তুমি নন্দিনী, একা নয় একান্নবর্তী, রাতভোর বৃষ্টি, বৃদ্ধাশ্রম, ইত্যাদি বহু জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন সুস্মিতা। এরপর বহুদিন আর তাকে সেভাবে ক্যামেরার সামনে পাওয়া যায়নি। বহু বছর বাদে ২০২৪ সালে বধুয়া সিরিয়ালে দীপঙ্কর দের স্ত্রীর ভূমিকাতে দেখা মিলেছিল তার। কিন্তু সেই সিরিয়ালটিও মাত্র ছয় মাস চলেছিল। এরপর থেকে আর তার হাতে কোনও কাজ নেই।

আরও পড়ুন : দিনরাত শুনেছেন খোঁটা! মেয়েকে নিয়ে চরম অপমানিত হয়েছেন অনামিকা সাহা

 Susmita Chakraborty

আরও পড়ুন : বন্ধ রোজগার, মেয়ে দেখে না! চূড়ান্ত অর্থকষ্টে ভুগছেন ‘গীতা এলএলবি’র ব্রজবালা দেবী

বহুদিন হয়ে গেল সুস্মিতাকে আর নতুন কোনও ধারাবাহিকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এতে মানসিকভাবে ভেঙ্গেও পড়েছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘আগে যেমন অনেক সুযোগ ছিল। সবাই ভালোবেসে সম্মান করে ডেকে নিয়ে যেত কাজ করতাম। কিন্তু এখন এই সুযোগটাই নেই, এখন আর এত ডাক পাই না। হ্যাঁ অবশ্যই কেউ যদি আমাকে কাজের সুযোগ দেয় তাহলে আমি অবশ্যই আছি। কষ্ট তো হয়, একজন শিল্পী হিসেবে এখন আর সেভাবে কাজ করতে পারি না। অর্থ কষ্ট তো রয়েইছে। সত্যি বলতে এটাই আমার আর আমার স্বামীর একমাত্র রুটি রোজগার তাই সেই কষ্ট তো থাকছেই। খিদে আছে কিন্তু সেই খিদে মেটানোর মত খাবার নেই।”