সোশ্যাল মিডিয়াতে তারকাদের নিয়ে কতই না খবর শোনা যায়। এরমধ্যে কিছু কিছু খবরের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকে। শুধু তারকারা নয়, তাদের সন্তানদের নিয়েও এমন নানা খবর রটানো হয়ে থাকে যেগুলোর সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই। অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan) এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের (Aaradhya Rai Bachchan) মেয়ে আরাধ্যা বচ্চনকে (Aradhya Bachchan) নিয়েও শোনা যাচ্ছে এমনই কিছু খবর।
১১ বছর বয়সি আরাধ্যা সম্প্রতি তার সম্পর্কে রটে যাওয়া ভুয়ো খবরের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। তার জীবন এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে একটি ইউটিউব চ্যানেলে একটি খবর রটে যায়। ভাইরাল হওয়ার পর জানা যায় খবরটি আসলে ছিল মিথ্যে। তাই ওই ইউটিউব ট্যাবলয়েডের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বচ্চন পরিবার।
ওই মিডিয়া সংস্থা ছোট্ট আরাধ্যাকে নিয়ে যে খবর ছড়িয়েছে সেটার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন বচ্চনরা। আরাধ্যা এখন নাবালিকা। তার বিরুদ্ধে এমন নেতিবাচক খবর পরিবারের সদস্যদের উদ্বিগ্ন করেছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্টে আরাধ্যাকে নিয়ে মামলাটি দায়ের হয়েছে।
২০শে এপ্রিল দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সি হরিশংকরের একক বিচারকের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। এখনও পর্যন্ত বচ্চন পরিবারের তরফ থেকে এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টিকে নিয়ে বচ্চনরা কোনও প্রতিক্রিয়াই দেননি সংবাদ মাধ্যমের কাছে। উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই অভিষেক বচ্চন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন মেয়েকে নিয়ে কোনও ট্রোলিং তারা সহ্য করবেন না।
অভিনেতা বলেন একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে তাকে কিংবা ঐশ্বর্যকে নিয়ে মানুষ কটাক্ষ করতেই পারে। কিন্তু আরাধ্যাকে এসবের মধ্যে টেনে আনা উচিত নয়। তবুও কিছুদিন আগে এক মহিলা আরাধ্যা এবং ঐশ্বর্যকে কটাক্ষ করে প্রশ্ন করেন মেয়েকে পড়াশোনা করানোর বদলে সব সময় তাকে নিয়ে ঘুরে কেন বেড়ান ঐশ্বর্য? তিনি কি মেয়েকে ‘বিউটি উইথআউট ব্রেন’ বানাতে চান?
আরাধ্যা বর্তমানে মুম্বাইয়ের ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। মায়ের সঙ্গে কান চলচ্চিত্র উৎসব থেকে প্যারিস, এছাড়া মুম্বাইয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যায়। তাই কটাক্ষ করেছিলেন নেটিজেনদের একাংশ। এর সমুচিত জবাবে ওই মহিলাকে উদ্দেশ্য করে অভিষেক লেখেন, “আমি যতদূর জানি সপ্তাহান্তে সব স্কুলে ছুটি থাকে। আর আরাধ্যা সপ্তাহের বাদবাকি দিন স্কুলেই থাকে। আপনারও সেটাই করা উচিত। যা বানানের ছিরি দেখলাম আপনার।”