Sunny Deol Juhu Villa : বক্স অফিসে বাজিমাত করেছে সানি দেওল (Sunny Deol) -র ‘গদর টু’ (Gadar 2)। প্রায় ৪০০ কোটি বাজার করেছে এই ছবি। গড়ছে রেকর্ডের পর রেকর্ড। ঠিক সেই মুহূর্তে নিজের বাংলো বিক্রির নোটিশ পেলেন অভিনেতা। ভারতের ব্যাংক অব বারোদা থেকে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাকে।আর্থিক টানাপোড়নে তার জুহুর বাংলো (Sunny Deol Villa in Juhu) নিলামে উঠতে চলেছে, এমনটাই খবর।
দীর্ঘ ২২ বছর পর মুক্তি পেয়েছে সানি দেওলের অন্যতম জনপ্রিয় ছবি ‘গদর’-এর সিক্যুয়েল ‘গদর ২’। অনিল শর্মা পরিচালিত এই ছবি মাত্র ৮ দিনেই ৩০০ কোটির ক্লাবে নাম লিখিয়েছে। গত ৯ দিনে এই ছবির টোটাল কালেকশন ৩৩০ কোটি টাকা। দেশপ্রেম ও নস্টালজিয়া মিলে মিশে একাকার, এই ছবিতে। ফের একবার তারা সিং ও শাকিনার প্রেম ঝড় তুলেছে বড়পর্দায়।
আর গদর-২ সাফল্য দেখে বর্ডার-২ বানানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছেন পরিচালক জেপি দত্ত ও তার মেয়ে নিধি দত্ত। তবে সেই সিনেমায় পুরনো যারা ছিলেন, তাদের প্রায় সকলকেই বাদ দিয়ে নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের নিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘বর্ডার ২’। একমাত্র ব্যতিক্রম নাকি সানি দেওল। আর এর মধ্যেই সমস্যার মুখে পড়লেন গদর ২ এর তারা সিং।
এদিন ব্যাঙ্ক অফ বরোদার একটি নোটিশের ছবি টাইমস নাউ-এর প্রতিবেদন উঠে আসে। আর সেই নোটিসে লেখা রয়েছে ৫৫ কোটি ৯৯ লক্ষ ৮০ হাজার ৭৬৬ টাকা ফেরত না দেওয়ার কারণেই ২৫ সেপ্টেম্বর নিলাম করা হবে সানি দেওলের মুম্বইয়ের বিলাসবহুল বাংলোটি। সানির বাবা, অভিনেতা ধর্মেন্দ্রকে অনুদানকারী হিসাবে দেখানো হয়েছে।
আশির দশকের শেষের দিকে এই বাংলোটি কেনেন অভিনেতা। মূলত নিজের প্রযোজনা সংস্থার কাজকর্ম চালান জুহুর এই বাংলো থেকেই। অভিনেতার এই বাংলোর ভিতরে একটি দফতর, সিনেমাহল এবং পোস্ট প্রোডাকশনের কাজের জন্য বেশ কয়েকটি ঘর রয়েছে। এখন সেই সানি ভিলাই নিলাম করার নোটিশ দিল ব্যাঙ্ক।
কারণ সানি নিজের পরিচালিত ছবি ‘ঘায়েল: ওয়ানস এগেইন’-এর জন্য নিজের বাড়ি বন্ধক দিয়ে এই লোন নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই লোন এখনও শোধ করতে পারেননি। মর্টগেজ হিসেবে অভিনেতার জুহুর বাংলো রয়েছে। বাংলোটির নাম সানি ভিলা। আর গ্যারান্টার হিসেবে ধর্মেন্দ্রর নাম। সানি দেওলের নেওয়া ঋণের টাকা আদায় করার জন্যই বাংলো বিক্রি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংক।
আরও পড়ুন : ‘গদর ২’ ছবিতে সানি দেওলের বউমা আসলে কে? রইল বলিউডের নতুন নায়িকার পরিচয়
প্রায় ৫৫ কোটি টাকার দেনা ছিলো। তাই বাড়ির দাম রাখা হয়েছে ৫৫ কোটি টাকার একটু বেশি। গোটাটাই হবে অনলাইনে। যিনি সবোর্চ্চ দাম দেবেন তার কাছে যাবে এই বাড়ির মালিকানা। এই গোটা পদ্ধতি সম্পন্ন হতে মাসখানেকও সময় লাগতে পারে আবার বছরও কেটে যেতে পারে। তবে এই প্রসঙ্গে সানি দেওল কিংবা ধর্মেন্দ্র এখনও কোনো মন্তব্য করেননি।
আরও পড়ুন : সানি দেওলের বৌমার MMS ফাঁস অনলাইনে, নিন্দার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়