Bengali Patriotic Songs : ২০২৩ সালের ১৫ ই আগস্ট ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) পালন করছে ভারতবর্ষ। স্কুল-কলেজের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে পাড়ার মোড়ে মোড়ে এদিন সকাল থেকেই বাজছে নানা দেশাত্মবোধক গান। এই গানগুলি দশকের পর দশক ধরে দেশপ্রেমী মানুষদের রোমাঞ্চিত করে এসেছে। এর মধ্যে তো কোনও কোনও গানের বয়স পেরিয়েছে ১০০ বছর। এক নজরে দেখে নিন, আর শুনে নিন চিরস্মরণীয় এই গানগুলো।
মুক্তির মন্দির সোপান তলে (Muktir Mandir Sopantale) : মোহিনী চৌধুরীর লেখা এই গানটি দশকের পর দশক ধরে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। গানটি শুনলে আজও শ্রোতারা যেন ১০০ বছর পিছিয়ে যান। দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার জন্য যারা শহীদ হয়েছিলেন, এই গানের মাধ্যমে তাদেরই শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়েছে।
একবার বিদায় দে মা (Ekbar Biday De Ma Ghure Ashi) : গানটি শুনলেই মনে পড়ে যায় কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর কথা। ১৮ বছরের যুবক ক্ষুদিরাম দেশ মায়ের জন্য হাসতে হাসতে নিজের প্রাণ বিসর্জন দেয়। ফাঁসির আগে নিজের মন থেকে এই গানটি গেয়েছিল সে। সেই গান আজও শ্রোতাদের মন ভারাক্রান্ত করে তোলে।
আহ্বান শোনো আহ্বান (Ahoban Shono Ahoban) : সলিল চৌধুরী লিখেছিলেন এই গানটি। মান্না দে এবং সবিতা চৌধুরী গানটি গেয়েছিলেন। গানটি স্বাধীনতা দিবসে আরও বেশি করে ভারতীয়দের মনে দেশপ্রেমকে উদ্বুদ্ধ করে।
দুর্গম গিরি কান্তার মরু (Durgom Giri Kantar Moru) : এই গানটি লিখেছিলেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। ইংরেজ শাসনের আমলের কঠিন সময় এবং ভারতীয়দের লড়াইয়ের কথা ফুটে উঠেছে গানের প্রতি ছত্রে ছত্রে।
কারার ওই লৌহ কপাট (Karar Oi Louho Kopat) : এই গানটিও নজরুল ইসলামের লেখা। এই গানের মাধ্যমে নজরুল স্বাধীনতার আহ্বান জানিয়েছিলেন। গানটি শুনলে আজও যেন রক্ত গরম হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন : ৭৬ না ৭৭ তম? ২০২৩ সালের ১৫ই অগাস্ট কত তম স্বাধীনতা দিবস পালন করবে ভারত
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে (Jodi Tor Dak Shune Keu) : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও একাধিক দেশাত্মবোধক গান লিখেছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম ছিল ১৯০৫ সালে লেখা তার এই গানটি। পরবর্তীকালে একাধিক বাংলা ছবিতে রবীন্দ্রনাথের এই গানটি ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন : ‘INDIA’-র পুরো নাম কী জানেন? উত্তর জানা থাকলে আপনি জিনিয়াস