Sudipa Chatterjee Opens Up About Sudipar Rannaghar Puri : টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee)। যার সঞ্চালনায় জনপ্রিয় শো জি বাংলা (Zee Bangla) -র রান্নাঘর (Rannaghor)। একদিকে যেমন তার কথায় মুগ্ধ ভক্তেরা, তেমনই অভিনয়েরও ভক্তসংখ্যা প্রচুর। কিন্তু তার মধ্যে বিভিন্ন রকম বিতর্কে জড়াতে দেখা গেছে অভিনেত্রীকে।আর এবার অভিযোগ উঠলো সুদীপার রেস্তোরাঁয় খেয়ে নাকি অসুস্থ হয়ে পরেছেন অনেকে (Sudipar Rannaghar Puri)।
বেশ কয়েক বছর হল দক্ষিণ কলকাতায় সুদীপা উদ্বোধন করেছেন তার রেস্তরাঁ ‘সুদীপার রান্নাঘর’ (Sudipar Rannaghor)। রেস্তরাঁটিও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে ইতিমধ্যেই। নানা ঘরানার বাঙালি খাবার যে মন ছুঁয়ে গিয়েছে ভক্তদের, তা বলাই যায়। এবার সেই রেস্তরাঁ নিয়েই ঘটেছে এক কান্ড।
সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের রেস্তরাঁয় খেয়ে নাকি অসুস্থ হয়ে পরেছেন অনেকে। তা-ও আবার জগন্নাথধাম অর্থাৎ পুরীতে বেড়াতে গিয়ে শোচনীয় অবস্থা হয়েছে অনেকের। এমন অভিযোগ শুনেই তো মাথায় বাজ ভেঙে পরেছে সুদীপা এবং তার স্বামী পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের মাথায়।
মঙ্গলবার ফেসবুকে এই অভিযোগ জানিয়ে তিনি একটি সুদীর্ঘ পোস্ট লেখেন। যেখানে তার বক্তব্য পুরীতে তার নামে একটি রেস্তরাঁ চলছে। যার সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। যে রেস্তরাঁর খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পরেছেন অনেকে। ফলে খুবই বিরক্ত সুদীপা।
এদিন তিনি জানালেন, “পুরীর এই রেস্তোরাঁটির সঙ্গে আমার ও আমার পরিবারের কেউ যুক্ত নয়। এরা বেআইনিভাবে- আমার নাম,ও আমার পুরোনো রেস্তোরাঁর লোগোও ব্যাবহার করছে। দীর্ঘদিন ধরে করছে। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম- কিছু বলবো না…কেউ যদি আমার নামকে সন্মান দিয়ে দু-পয়সা রোজগার করে- তা তো ঈশ্বর ওনার জন্য ঠিক করে রেখেছেন। আমি আটকাবো কেন?’
‘ কিন্তু,বেশ কিছুদিন ধরে- অনেকের অনেক অভিযোগ আসতে থাকার পর,এই সিদ্ধান্ত নিলাম যে,এটা আর চলতে দেওয়া যায় না। কারন,আগামীদিনে কেউ ওদের খাবার খেয়ে অসুস্থ হলে- সে দায় তো আমার ওপরও,খানিকটা বর্তায়? তাই,আমার ফেসবুকের সকল বন্ধুদের কাছে,আমার বিনীত অনুরোধ,কেউ যদি ওই রেস্তোরাঁর করণধারকে চেনেন- তাহলে,তাঁকে এ বিষয়ে অবগত করে,অবিলম্বে আমার সাথে যোগাযোগ করতে বলুন।’
আরো পড়ুন : ঋতুপর্ণার অনেক খারাপ অভ্যাস আছে, বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন রান্নাঘরের সুদীপা
তিনি আরও লেখেন,’নয়তো,আমাকে আইনানুগ ব্যাবস্থা নিতে হবে- যা আমার একান্তই অনিচ্ছার। আমি একদমই কোনো ব্যাবসায়িক ক্ষতি চাই না।শুধু আমার নাম আর লোগো- তারা আমার বিনা অনুমতিক্রম যেন ব্যাবহার না করেন। এই মুহুর্তে কেউ পুরী বেড়াতে গেলে- যদি বন্ধু হিসাবে আমার এটুকু উপকার করেন- তাহলে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো। জয় জগন্নাথ।’
আরো পড়ুন : ‘আমি কোনোদিন তোমার মা হতে পারব না’! সৎছেলেকে নিয়ে কলম ধরলেন রান্নাঘরের সুদীপা