Swastika Mukherjee`s Madhyamik Result : বরাবরই স্পষ্টবাদী স্বস্তিকা মুখার্জী (Swastika Mukherjee)। উচিত কথা বলতে সাত-পাঁচ ভাবেন না। মুখে যা আসে তাই বলে দেন। এবার নিজেকে পদার্থবিদ্যা (Physics) আর গণিতে (Mathematics) ফেল করা ছাত্রীর তকমা দিয়েছেন স্বস্তিকা। এসব নিয়েই নিজের ফেসবুকে পাতায় লম্বা পোস্ট করেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
এদিন ফেইসবুকে পরমার পোস্ট করা কয়েকটি রবীন্দ্রনাথের লাইন দেখে একটি লম্বা পোস্ট করেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমি বেশ উঁচু ক্লাস অবধি মায়ের মাস্টার মশাইয়ের কাছে বাংলা আর ইংরেজী পড়তাম। এই মাস্টারমশাই আমার মা এবং মায়ের বাকি সব দাদা/ভাই/ বোনদের ও মাস্টারমশাই। সব মিলিয়ে একই বাড়িতে প্রায় ৮ জন। আমার সব চেয়ে ছোট মাসি ছাড়া সবাই বাংলা মিডিয়াম। আমার মায়ের বাংলা অনার্স ও।’
এরপরেই তিনি লেখেন,’ বাবার ইচ্ছে ছিল আমিও বাংলা মিডিয়ামেই পড়ি, মা সেটা করতে দেয়নি, কিন্তু তাই বলে বাংলা জানবো না এটা হতে দেওয়া যায়না তাই দক্ষতা বাড়াতে মায়ের সেই মাস্টারমশাইয়ের দারস্থ হলাম। ওনার অনেক বয়েস, গড়িয়াতে থাকতেন তাই আমি যেতাম, প্রায় প্রত্যেক দিন। আগে একা পড়তাম, ক্লাস বাড়তে আরো অনেকের সঙ্গে।’
এরপর বাংলা পরীক্ষার দিন কিভাবে রবীন্দ্রনাথের সহায়তায় প্রবন্ধ লিখতেন সেকথা সেকথাও লিখেছেন স্বস্তিকা।তিনি জানিয়েছেন, ‘ W.B বোর্ড পাল্টে আইসিএসই বোর্ডে গেলাম। মাস্টারমশাই তখন স্বর্গে গেছেন। ক্লাস 9 থেকে 10-এ ওঠার ফাইনালে বাংলা essay/প্রবন্ধ লেখার দুটো চয়েস ছিল।একটি গ্রীষ্মের মধ্যাহ্ন -এইটা আমি choose করি। অন্যটা কি ছিল এখন আর মনে নেই। আমার পাশের বান্ধবী ফিশফিশ করে বললো, একটা দুপুর নিয়ে ২০ নম্বর কি লিখবি? রিস্ক নিস না। হয়তো তখন থেকেই আমার ঝুঁকি নেওয়ার অভ্যেস।’
‘আমি শুরু করেছিলাম – প্রখর তপন তাপে – এই গান টার চারটে লাইন লিখে। আর শেষ করেছিলাম ‘দারুণ অগ্নিবাণে রে, হৃদয় তৃষায় হানে রে॥ রজনী নিদ্রাহীন, দীর্ঘ দগ্ধ দিন/আরাম নাহি যে জানে রে।আর তারপরেই ২০ তে ১৮ পেয়েছিলাম, আর ক্লাস ১০ এর বোর্ডে বাংলায় পেয়েছিলাম ৮৯। আমদের বাংলা মিসকে আমরা দিদি মজুমদার বোলে ডাকতাম, ওনার তালিকায় আমি হয়ে গেছিলাম প্রিয় ছাত্রী।’
এদিকে পদার্থ বিদ্যা আর গণিতে নিজেকে ফেল করা ছাত্রীর তকমা দিয়েছেন স্বস্তিকা। লিখেছেন, ‘সারা জীবন পদার্থবিদ্যা, গণিতে ফেল করা ছাত্রী আমি। রবি ঠাকুর বারংবার বাকি গুলোতে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। আমি মনে করি, শুধু বাংলা নয়,পুরো দোস্তুর সমবৃদ্ধি হয়ছে আমার,আমার মতন আরোও অনেকের। বড়ো হয় উনি হয়ছেন আমার সুখ-দুখের সাথি। ওনাকে আঁকরে কত শত অনভূতির আভাস পেয়েছি, ভালো অভিনেত্রী হতে পেরেছি, মাটিতে পা রেখে চলতে শিখেছি। ভাগ্যিস মা রবি ঠাকুর কে এমন ভাবে আঁকরে ধরতে শিখিয়ে ছিল।’
আরও পড়ুন : রূপে টলিউড নায়িকাদের হার মানাবে, সোহম চক্রবর্তীর স্ত্রী বাস্তবে কত সুন্দরী দেখুন
আর শেষে স্বস্তিকা পরমার উদ্যেশ্যে লিখেছেন, ‘তোমার লেখাটা পরে আজ কত কোটি বছর পর মাষ্টারমশাই এর কথা মনে পড়ল। কত মানুষের অবদান রয়ে যায় আমাদের জীবনে। একটাই আপসোস আমার মা এর সঙ্গে তোমার দেখা হল না পরমা, হলে তুমি হতে মা-এর favourite’।
আরও পড়ুন : কারও বুকে, কারও পেটে, কোন কোন গোপন স্থানে ট্যাটু করিয়েছেন টলিউড সুন্দরীরা? দেখুন ছবি