Biscuits Hole Reason : ৮ থেকে ৮০, বিস্কুট খেতে প্রায় সকলেই পছন্দ করেন। হালকা খিদে মেটানোর ক্ষেত্রে এর জুড়ি মেলা ভার। স্বাদে এবং পুষ্টিতে ভরপুর বিস্কুট খিদে মেটানোর পাশাপাশি শরীরে তাৎক্ষণিকভাবে শক্তির যোগান দেয়। বাজারে এখন হরেক রকম স্বাদের বিস্কুট পাওয়া যায়। মিষ্টি, নোনতা, সুগার ফ্রি, যার যেটা পছন্দ তিনি সেটাই খান। তবে বেশিরভাগ বিস্কুটে ক্ষেত্রেই একটি সাধারণ বিষয় চোখে পড়ে।
বাজারে যে সমস্ত বিস্কুট পাওয়া যায় তার মধ্যে বেশিরভাগ বিস্কুটের গায়ে অসংখ্য ছিদ্র দেখতে পাওয়া যায়। গ্রাহকরা যারা বিস্কুট কেনেন কিংবা খান তারা মনে করেন এটা হয়ত বিস্কুটের গায়ে কোনও নকশা হতে পারে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? বিস্কুটের গায়ে এমন অসংখ্য ছিদ্র থাকার নেপথ্যে রয়েছে একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
যে ছোট ছোট ছিদ্র বেশিরভাগ বিস্কুটের গায়ে দেখতে পাওয়া যায় সেগুলো আসলে উৎপাদনের সময়ে তৈরি হয়ে যায়। বা বলা যেতে পারে বিস্কুট উৎপাদনের সময় ইচ্ছাকৃতভাবেই এই ছিদ্র করা হয়ে থাকে। কেন জানেন? একটি নয়, এর পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ। উৎপাদনের সুবিধার্থে বিস্কুটের গায়ে এরকম ছিদ্র করা হয়। ছিদ্রগুলিকে বলা হয় ডকার।
এই ডকারের প্রধান কাজ হল যাতে বিস্কুটের মধ্যে বাতাস চলাচল করতে পারে। যখন কোনও বাড়ি তৈরি করা হয় তখন সেখানেও বাতাস চলাচলের জন্য ফুটো করে দেওয়া হয়। বিস্কুটের গায়ে ছিদ্র করার পেছনেও একই কারণ রয়েছে। যখন বিস্কুট বেক করা হয় তখন এই ছিদ্রগুলোর মধ্য দিয়ে হাওয়া-বাতাস চলাচল করতে পারে।
ময়দা, চিনি এবং লবণ দিয়ে মেখে ভাল করে মন্ড প্রস্তুত করে তারপর সেগুলোকে ছাঁচে বিছিয়ে মেশিনের নিচে রেখে বিস্কুট তৈরি করা হয়। তবে তার আগে একটি মেশিন বিস্কুটের গায়ে ছিদ্র তৈরি করে। বেক করার সময় বিস্কুটের মধ্যে কিছুটা বাতাস ভরে যায়। গরম করার সময় এটা ফুলে উঠতে পারে। এতে বিস্কুটের আকার নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরও পড়ুন : প্লেনের ইঞ্জিনে মুরগি কেন ব্যবহার করা হয়? ৯৯% মানুষ উত্তর জানেন না
বেকিংয়ের সময় যাতে বিস্কুট ফুলে উঠে আকৃতি নষ্ট না হয়ে যায় এবং বিস্কুটের চার ধার যাতে সমানভাবে ফুলে থাকে তার জন্য ছিদ্র করা হয়। এই ছিদ্র না থাকলে বিস্কুটের মধ্যে তাপ এবং বাতাস বের হতে পারত না। যার ফলে সহজেই মাঝখান থেকে ভেঙে যেত। তাই এইভাবে মেশিনের সাহায্যে বেক করার আগেই সমান দূরত্বে ছিদ্র তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন : বিশ্বের সবথেকে দামী এই আইসক্রিম খেতে গেলে আম্বানিরাও দুবার ভাবে, জানেন এতে কী থাকে?