বলিউড (Bollywood) সুন্দরী রেখার (Rekha) প্রেম জীবন বরাবর সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম দখল করেছে। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তার প্রেমের চর্চা নিয়ে গোটা বলিউড তোলপাড় হলেও রেখার জীবনে শুধু অমিতাভই ছিলেন না। কখনও জিতেন্দ্র, কখনও বিনোদ খান্না, কখনও আবার অক্ষয় কুমার, সঞ্জয় দত্তদের মত তারকাদের সঙ্গেও জড়িয়েছে তার নাম।
রেখা বিয়ে করেছিলেন দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ আগরওয়ালকে। কিন্তু বিয়ের এক বছরের মধ্যেই তিনি আত্মহত্যা করেন। শোনা যায় রেখার জীবনের এক বিশেষ মানুষের জন্য নাকি আত্মহত্যা করেছিলেন তার স্বামী। তিনি অমিতাভ নন, জিতেন্দ্র, বিনোদ কিংবা সঞ্জয় কেউই নন। তিনি হলেন রেখার কেশশিল্পী ফারজানা। যিনি পরবর্তী দিনে তার ব্যক্তিগত সচিবে পরিণত হন।
১৯৮১ সালের ‘সিলসিলা’ ছবির মেকআপ টিমের সদস্য ছিলেন ফারজানা। তার সঙ্গে রেখার বন্ধুত্ব এতটাই গভীর হয় যে কয়েক বছরের মধ্যেই ফারজানাকে রেখা তার ব্যক্তিগত সচিব করে নেন। ফারজানাকে দেখলে কিন্তু প্রথম নজরে পুরুষ বলেই মনে হয়। তার ছোট ছোট চুল, বেশভূষা থেকে চালচলন সবটাই পুরুষের মত।
ফারজানা হলেন রেখার ছায়াসঙ্গী। সিনেমার অফার হোক কিংবা কোনও ব্র্যান্ড এন্ডোর্সমেন্ট, পার্টি কিংবা ইভেন্ট সবকিছুতেই রেখা শুধুই ফারজানার মতামত নিয়ে চলেন। তার পেশাগত জীবন থেকে ব্যক্তিগত জীবন, সবেতেই নাকি শুধু ফারজানার অধিকার রয়েছে। তার অনুমতি ব্যতিরেকে রেখার ঘরে পা পর্যন্ত দিতে পারেন না কেউ। এমনকি রেখার স্বামীও পারতেন না।
রেখার ঘরে প্রবেশের অনুমতি ছিল শুধুই ফারজানার। ১৯৯০ সালে দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশকে বিয়ে করেন রেখা। ছবির কাজের জন্য তাকে মুম্বাইতেই থাকতে হত। কাজ শেষ করে তিনি দিল্লিতে স্বামীর কাছে চলে যেতেন। মুম্বাইয়ের বাড়িতে ফারজানার সঙ্গেই থাকতেন রেখা। ফারজানার অনুমতি ছাড়া নাকি রেখা মুম্বাইয়ের বাইরে পা রাখতেন না।
রেখার পরিবারের লোকদেরও রেখার সঙ্গে কথা বলতে হলে আগে ফারজানার অনুমতি নিতে হত। এমনকি তার স্বামী মুকেশের জন্যেও এই একই নিয়ম ছিল। মুকেশ সেটা মোটেও মানতে চাইতেন না। ফারজানার কারণেই নাকি তাদের দাম্পত্যে সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। বিয়ে ঠিক সাত মাসের মাথায় মুকেশ আত্মহত্যা করেন। তার জন্য রেখার পাশাপাশি ফারজানাকেও দায়ী করেছিলেন মুকেশের পরিবার।