বলিউড (Bollywood) অভিনেতাদের অতিরিক্ত সফলতা কখনও কখন তাদের জীবনকে ধ্বংসের পথে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। বলিউডের তারকা অভিনেতা এবং অভিনেত্রীরা অনেকেই একসময় মাদকাসক্তিতে ডুবে গিয়েছিলেন। এই মাদকাসক্তির কারণে অনেকের কেরিয়ার নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে চরম প্রভাব পড়েছে। আজ এই প্রতিবেদনে রইল সেই তারকাদের তালিকা।
মিনা কুমারী (Meena Kumari) : মিনা কুমারিকে বলিউডের ট্রাজেডি কুইন বলা হয়। তার জীবনটা ছিল দুঃখ এবং দুর্দশা ঘেরা। রাতে ঘুমের জন্য তাকে একটু করে অ্যালকোহল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু মিনা কুমারী সেটাকেই তার অভ্যাস বানিয়ে ফেলেন। তিনি একসময় অতিরিক্ত মদ্যপান করতে শুরু করেন। এই অভ্যাসে কারণে মাত্র ৩৮ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়।
সঞ্জীব কুমার (Sanjeev Kumar) : বলিউডের আরেক তারকা সঞ্জীব কুমারও মদকেই তার সঙ্গী বানিয়ে ফেলেছিলেন। এই অভিনেতা তার একাকীত্ব দূর করার জন্য মদ্যপান করতেন। শোনা যায় হেমা মালিনিকে প্রেম প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর তিনি মাদকাসক্তির মধ্যে ডুবে যান। এই অভ্যাস তার ব্যক্তিগত জীবন এবং কেরিয়ার নষ্ট করে দেয়।
গুরু দত্ত (Guru Dutt) : গুরুদত্ত ছিলেন বলিউডের একজন অসাধারণ অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি অসংখ্য ছবি বলিউডকে উপহার দিয়েছেন যেগুলো আজ এত দশক পেরিয়ে এলেও দর্শকরা পছন্দ করেন। কিন্তু মাদকাসক্তি গুরুদত্তের জীবনটাকেই নষ্ট করে দেয়। মদের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি মাত্র ৩৯ বছর বয়সে নিজের জীবন শেষ করে দেন।
ওপি নায়ার (OP Nayyar) : বলিউডে শুধু তারকা অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রীরা নন, সেই সঙ্গে কিছু গায়কশিল্পীও মদের কারণে নিজের জীবন নষ্ট করেছেন। ওপি নায়ার ছিলেন বলিউডের একজন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী। শোনা যায় তিনি কোনও সাক্ষাৎকার দিলেও নাকি মদ এবং টাকা চাইতেন।
ঋষি কাপুর (Rishi Kapoor) : বলিউডের এই অভিনেতা এক সময় চরম মাদকাসক্তিতে ডুবে গিয়েছিলেন। যে কারণে তার পারিবারিক জীবনে চরম প্রভাব পড়ে। স্ত্রী নীতু কাপুরের সঙ্গেও তার সম্পর্কের অবনতি হয়। মধ্যপ বাবাকে ছোটবেলায় তেমন পছন্দ করতেন না ছেলে রণবীর কাপুর। ২০২০ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এই অভিনেতার।
রাজেশ খান্না (Rajesh Khanna) : বলিউডের এই লেজেন্ডারি সুপারস্টারও একাকিত্বের কারণে মদ্যপানে আসক্ত হন। এই অভ্যাস তার স্টারডম শেষ করে দেয়। কেরিয়ারে তাকে পতনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। মদ্যপানের এই অভ্যাস তার ব্যক্তিগত জীবন, কেরিয়ারের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলেছিল।