১৯৮৮ সালের রামসে ব্রাদার্স প্রযোজিত ‘ভিরানা’ (Veerana) ছবিটি মুক্তি পেয়ে বক্স অফিসে রীতিমত শোরগোল ফেলে দেয়। মাত্র ৪৫ লাখে তৈরি এই ছবি থেকে সেই সময় ২.৭ কোটি টাকা ব্যবসা করেছিলেন নির্মাতারা। এই ছবিতে একাধিক শিল্পী অভিনয় করলেও সবার মধ্যে থেকে নজর কেড়েছিলেন অভিনেত্রী জেসমিন ধুন্না (Jasmine Dhunna)।
হরার ঘরানার এই ছবিতে লাস্যময়ী পেত্নীর চরিত্রে অভিনয় করে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন জেসমিন। এমন একজন সুন্দরী অভিনেত্রী হঠাৎ করে ইন্ডাস্ট্রি থেকে কোথাও যেন গায়েব হয়ে যান। তার পরিণতি ছিল সত্যিই খুব মর্মান্তিক। আজ এই প্রতিবেদনে রইল বলিউডের সেই সুন্দরী অভিনেত্রীর সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।
১৯৭৯ সালে বলিউডের পর্দায় প্রথমবার পা রেখেছিলেন জেসমিন। যদিও তার আসল নাম জেসমিন ছিল না। অভিনেত্রীর আসল নাম আসলে কেউই কখনও জানতে পারেননি। প্রথম থেকেই তাকে নিয়ে ছিল অনেক রহস্য। বিনোদ খান্না সঙ্গে ‘সরকারি মেহমান’ ছবি দিয়ে শুরু হয়েছিল তার বলিউড যাত্রা। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর।
কেরিয়ারে ১০ বছরে জেসমিন সর্বসাকুল্যে মাত্র তিনটি ছবিতে অভিনয় করেন। ‘সরকারি মেহমান’ ছবির পর জেসমিনের দ্বিতীয় ছবি ছিল ‘ডিভোর্স’ যেটা ১৯৮৪ সালে মুক্তি পায়। ‘ভিরানা’ ছিল তার অভিনীত শেষ ছবি। এই ছবির সুবাদে রাতারাতি তারকা বনে যান জেসমিন। কিন্তু এরপর আচমকাই ইন্ডাস্ট্রি থেকে কোথায় যেন গায়েব হয়ে গেলেন তিনি।
জেসমিনের গায়েব হয়ে যাওয়া নিয়ে অনেক মতবাদ প্রচলিত রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে। কেউ বলেন আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের নজরে পড়েছিলেন তিনি। আন্ডারওয়ার্ল্ড সংযোগের কারণেই নাকি তিনি নিজের জীবন শেষ করে দেন। আবার কেউ কেউ বলেন দীর্ঘদিন অসুস্থতায় ভুগে তার মৃত্যু হয়েছে। যদিও কেউ কেউ বিশ্বাস করেন তিনি বেঁচে আছেন।
জেসমিন তার পরিবারের সঙ্গে বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন এমনটাও বলে থাকেন কেউ কেউ। তবে জেসমিন আজও বেঁচে আছেন কিনা, কিংবা বেঁচে থাকলেও তিনি কোথায় আছেন সেই সব প্রশ্নের উত্তর কেউই জানেন না। ব্লকবাস্টার ছবিতে পর্দায় ঝড় তোলার পরই হঠাৎ কোথায় যেন গায়েব হয়ে যান বলিউডের এই সুন্দরী অভিনেত্রী।