৯০ এর দশকের সুন্দরী বলিউড (Bollywood) অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন দিব্যা ভারতী (Divya Bharti)। রূপে, গুণে এবং অভিনয়ে তিনি ওই সময় টেক্কা দিতে শুরু করেছিলেন তার সিনিয়র অভিনেত্রীদেরকেও। বলতে গেলে একপ্রকার বলিউডের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন এই সুন্দরী। মাত্র ১৯ বছর বয়সে এই অভিনেত্রীর রহস্য মৃত্যু আজও ভাবায় তার অনুরাগীদের।
দিব্যা ভারতী যে সময় ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন এবং যেভাবে তরতর করে এগিয়েছিল তার কেরিয়ার, সেই সাফল্যের শিখরে থাকতেও তিনি কেন আত্মহত্যা করতে যাবেন সেই কারণটা স্পষ্ট হয়নি আজও। তাই দিব্যার মৃত্যুটাকে আত্মহত্যা বলে চালানো হলেও তার অনুরাগীরা তা মানতে চান না। ৫ই এপ্রিল, আজ দিব্যা ভারতীর মৃত্যুবার্ষিকী। ৩০ বছর আগে ওই রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, আজও তা রহস্যের অন্ধকারে থেকে গিয়েছে।
৩০ বছর আগে আজকেরই দিনে চেন্নাই থেকে মুম্বাইতে নিজের বাড়িতে ফিরেছিলেন দিব্যা। একটি ছবির শুটিংয়ের কারণে তার হায়দ্রাবাদে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পায়ে চোট থাকায় শুটিংয়ের ডেট পিছিয়ে দেন তিনি। ফ্যাশন ডিজাইনার নীতা লুল্লা ও তার স্বামী সেদিন দিব্যার বাড়িতে এসেছিলেন। তিনজন একসঙ্গে মদ্যপান করছিলেন। এছাড়া ওই দিন বাড়িতে ছিলেন অভিনেত্রীর কাজের মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বয়ান দিয়েছিলেন মদ্যপান করতে করতে দিব্যা সেদিন পাঁচ তলা বিল্ডিংয়ের বারান্দায় এসে বসেন। সেখানে গ্রিল ছিল না। এরপর নেশার ঘোরে উঠতে গিয়ে হঠাৎ তার পা পিছলে যায় এবং তিনি সোজা নিচে পড়ে গিয়েছিলেন। তৎক্ষণাৎ তাকে মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
আপাতদৃষ্টিতে দিব্যা ভারতীর মৃত্যুতে অস্বাভাবিক কিছু খুঁজে পায়নি পুলিশ। কিন্তু দিব্যার অনুরাগীরা আজও মনে করেন অভিনেত্রী আসলে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন। যে কারণে তার স্বামীর সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। কিন্তু সাজিদের বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই সেদিন আসলে দিব্যার সঙ্গে কী ঘটেছিল তা আজও রহস্যে মোড়া।
দিব্যার অনুরাগীদের মধ্যে অনেকে আবার তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করে থাকেন তার মাকে। বলা হয় ওই সময় মায়ের সঙ্গেও নাকি মনোমালিন্য চলছিল অভিনেত্রীর। আবার সাজিদের সঙ্গেও সম্পর্কটা ঠিকভাবে এগোচ্ছিল না। ওইদিন নাকি সাজিদ এবং দিব্যার মধ্যে ভীষণ ঝগড়া হয়েছিল। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা দিব্যার মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলেই বয়ান দিয়েছেন। চিকিৎসকরাও তার ডেথ সার্টিফিকেটে অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা লেখেন।