হলিউড (Hollywood) অভিনেতা ক্রিস হেমসওয়ার্থের (Chris Hemsworth) নাম আজ জানে গোটা বিশ্ব। অবশ্য তাকে সবাই চেনেন অ্যাভেঞ্জার্সের ‘থর’ দেবতা হিসেবে। মার্ভেলের অ্যাভেঞ্জার্স সিরিজ ক্রিস হেমসওয়ার্থকে সুপারহিরো বানিয়ে তুলেছে। এছাড়া এই অভিনেতাকে ‘এক্সট্রাকশন’ ছবিতে বলিউড অভিনেতা রণদীপ হুডার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে দেখা যায়। তবে ভারতের (India) সঙ্গে ক্রিস হেমসওয়ার্থের সম্পর্ক আরও গভীর।
বড় পর্দার থরের বাস্তবে তিন মেয়ে রয়েছে। তার বড় মেয়ের নাম তিনি রেখেছেন ইন্ডিয়া। ভারতের নামে মেয়ের নাম রাখার পেছনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারন ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। বাস্তবে তিনি বিয়ে করেছেন স্প্যানিশ অভিনেত্রী এলসা পাটাকিকে। ২০১৯ সালে মেন ইন ব্ল্যাক ছবির প্রচারের সময় ক্রিস জানিয়েছিলেন তার স্ত্রী এলসা ভারতে অনেক সময় কাটিয়েছেন।
ক্রিস এবং এলসা দুজনের ইচ্ছেতেই তারা তাদের বড় মেয়ের নাম ইন্ডিয়া রাখেন। তাছাড়া ক্রিসের নিজেরও ভারতের প্রতি অনেক টান রয়েছে। তিনি এক্সট্রাকশন ছবির শুটিংয়ের সময় আমেদাবাদ এবং মুম্বাইতে এসে শুটিং করেছিলেন। এখানকার মানুষ এবং এই দেশের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করেছেন তিনি। ভারতের সঙ্গে তার অনেক ভাল ভাল স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।
ক্রিসের কথায়, “আমি এখানকার জায়গা ও মানুষদের অনেক ভালবাসি। সেখানে শুটিংয়ের সময় রাস্তায় প্রতিদিন শত শত লোক ছিল। আমি সেটে এর আগে কখনও এই ধরনের অভিজ্ঞতা অনুভব করিনি। যা একটি উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনা ছিল।” তিনি আরও বলেছেন, “ভারতের মানুষের সঙ্গে কথোপকথনের ভাল স্মৃতি, শক্তি এবং ইতিবাচকতা রয়েছে আমার। সেখানে শুটিং করাটা সত্যিই মজার ছিল।”
ক্রিসের কথায় তিনি আগে কখনও ভারতে শুটিং করেননি। কলাকুশলীদের দেখে তার মনে হয়েছিল ওখানে এরকম ছবির শুটিং হয় না। তাই এক ধরনের নেতিবাচকতা ছিলই। ভারত থেকে ক্রিস নিজেও অনেক ভালবাসা পেয়েছেন। অ্যাভেঞ্জার্সের থর যখনই পর্দায় এন্ট্রি নিয়েছে তখনই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন দর্শকরা।
ক্রিস বলেন অ্যাভেঞ্জার্স এন্ড গেম পরিচালক জো এবং অ্যান্টনি রুশো ছবিটি তৈরি করার সময় তাকে বলেছিলেন তারা প্রেক্ষাগৃহে থরের এন্ট্রির সময় যে উৎসাহ মানুষের মধ্যে দেখেছিলেন তা তাদের অনুপ্রাণিত করেছে। ক্রিস থরের চরিত্রের জন্যই ভারতবর্ষে এত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।