‘টাইটানিক’ (Titanic) জাহাজের নাম আমরা সকলেই শুনেছি। ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল এক দুর্যোগের রাতে সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল এই জাহাজ। ১৯৯৭ সালে এই ঘটনার উপর ‘টাইটানিক’ সিনেমাও তৈরি করেছিলেন জেমস ক্যামেরন। ছবিটি দর্শকদের মধ্যে এই জাহাজ নিয়ে আরও আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছিল।
এই জাহাজ ডুবে গিয়ে কমপক্ষে ১৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আটলান্টিকার ঠান্ডা জলে ডুবে মারা গিয়েছিলেন তারা। জাহাজটিতে এই ঘটনা ঘটার পিছনে অনেক অলৌকিক কারণ রয়েছে বলে বহু মানুষ বিশ্বাস করেন। এমনি একটি কারণ হিসেবে অভিশপ্ত মমিকে দায়ী করা হয়।
অনেকের বিশ্বাস ঐ অভিশপ্ত মমির জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। আসলে ১৮৯০ সালে এক ধনী ইংরেজ মিশর থেকে ঐ মমি কিনেছিলেন। তারপর এই জাহাজে করেই এই মমিটি দেশে পাঠানো চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বন্দরে সেটা গ্ৰহন করার পরেই অদৃশ্য হয়ে যায়।
এমনকি তার যে দু’জন সঙ্গী ছিল তারাও মারা যান। তারপর ঐ অভিশপ্ত মমির কফিন ইংল্যান্ডে পৌঁছায় তখন এক ব্যবসায়ী ঐ মমিটি কিনে নেন। কেনায় পর তার পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয় মটর দুর্ঘটনায়। আর তার বাড়িতে আগুনও লেগে যায়।
তারপর সেটিকে মিউজিয়ামেও রাখা হয়েছিল। কিন্তু মিউজিয়ামে রাখার পর রাত হলেই নানা শব্দ আসতো মিউজিয়াম থেকে। এমনকি একজন মানুষের মৃত্যু ও হয়েছিল মিউজিয়ামে। তাই মিউজিয়ামে এটা রাখা সম্ভব হচ্ছিল না।
তারপর একদিন এক আমেরিকান প্রত্নতত্ত্ববিদ এই সব বিশ্বাস না করে কিনে নয় মমিটা। তারপর মমিকে টাইটানিকে করে আমেরিকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। আর তারপর মমিটিকে আমেরিকায় আনার সময়েই টাইটানিকে দুর্ঘটনা ঘটে।