বলিউড (Bollywood) এবং টলিউডের (Tollywood) অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেতা হলেন রাজেশ শর্মা (Rajesh Sharma)। প্রধানত তাকে খলনায়ক হিসেবেই দেখতে অভ্যস্ত দর্শকরা। রাজেশ শর্মা তার অভিনয় গুনে টলিউড এবং বলিউডজুড়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন। অবশ্য শুরুর দিকে ইন্ডাস্ট্রিতে ঠাঁই পেতে তাকে কম কষ্ট করতে হয়নি।
একসময় পেটের দায়ে রাস্তায় ট্যাক্সি চালাতেন রাজেশ। অথচ সেই সময় অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার দুচোখ জুড়ে। সেই স্বপ্নটাকে তিনি ভেসে যেতে দেননি। আজকের এই জনপ্রিয় শিল্পী এক সময় নিজের ট্যাক্সিতে চাপিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অসংখ্য সেলিব্রেটিকে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছেন একজন মামুলি ট্যাক্সি ড্রাইভার হয়ে।
একবার জি বাংলার জনপ্রিয় টক শো ‘অপুর সংসার’-এ এসে হাজির হন শাশ্বত। সেখানেই তিনি জানান দিনভর ট্যাক্সি চালিয়ে তারপরে তিনি পৌঁছতেন নাটকের রিহার্সালে। সেই সময় তিনি একনাগারে থিয়েটার করেছিলেন। থিয়েটার করতে করতেই তিনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা পরিচালক অপর্ণা সেনের চোখে পড়ে যান।
অপর্ণা সেন তাকে একদিন ফোন করে তার চেতলার বাড়িতে ডেকে পাঠান। এরপর তিনি সেখানে পৌঁছতেই অপর্ণা তাকে ‘পারমিতার একদিন’ ছবির স্ক্রিপ্ট পড়ে শোনান। রাজেশ ভেবেছিলেন অপর্না হয়ত তাকে চিকিৎসকের ছোট একটি চরিত্রের জন্য ভেবেছেন। কিন্তু তাকে চমকে দিয়ে অপর্না বলেন ঋতুপর্ণার স্বামী হতে হবে তাকে।
এই প্রস্তাবে রাজেশের মাথায় যেন বাজ ভেঙে পড়ে। তিনি বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তাকে নায়িকার স্বামী হতে হবে। কারণ সেই সময় ঋতুপর্ণা ছিলেন বাংলা সিনেমার যথেষ্ট নামী একজন অভিনেত্রী। তার স্বামীর চরিত্র পাওয়া রাজেশের কাছে স্বপ্নের মত ছিল। তিনি প্রথমে সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন।
অপর্ণা সেনকে রাজেশ মুখের উপর বলে দেন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী কিংবা অন্য কোনও নায়ককে নিতে। গোটা বাংলা তখন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার অনস্ক্রিন রোমান্সে মুগ্ধ। কিন্তু সেই ছক ভাঙতে চেয়েছিলেন অপর্ণা। তাই রাজেশের উপরেই ভরসা করেছিলেন তিনি। রাজেশও মন দিয়ে তার চরিত্রে অভিনয় করেন এরপর।