বলিউড (Bollywood) ইন্ডাস্ট্রিতে রাজনীতি তো চলতেই থাকে। এখানকার বড় বড় মাথা যারা তাদের বিরুদ্ধে গিয়ে কেউই ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে পারেন না। বলিউডের বড় বড় প্রযোজক, পরিচালক এবং সেই সঙ্গে আমির খান, সালমান খান (Salman Khan), আর শাহরুখ খানদের (Shah Rukh Khan) দাপটের কথা সকলেরই জানা। বহু নায়ক-নায়িকার কেরিয়ারের গতি নির্ধারণ করে দিয়েছেন তারাই।
বলা হয় ইন্ডাস্ট্রিতে খানেদের সঙ্গে শত্রুতা করে কেউ বেশিদিন টিঁকতে পারেনি। সম্প্রতি এই বিষয়ে সরাসরি মুখ খুলেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra)। ইন্ডাস্ট্রিতে তাকে নোংরা রাজনীতির শিকার হতে হয়েছিল। তাকে ছবিতে কাস্ট করা হচ্ছিল না। একপ্রকার বাধ্য করা হয় তাকে দেশ ছাড়তে। তবে একা প্রিয়াঙ্কা নন, প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী ঐশ্বর্য রাইকেও (Aishwarya Rai Bachchan) এমন ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়।
ঐশ্বর্য রাইয়ের শত্রুতা ছিল সালমান খানের সঙ্গে। একসময় তাদের মধ্যে প্রেম থাকলেও পরে তা ভেঙ্গে যায়। ঐশ্বর্যর কেরিয়ারে এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। তার হাত থেকে পরপর পাঁচটি ছবি বেরিয়ে যায়। এই সব কটি ছবি ছিল শাহরুখ খানের সঙ্গে। শাহরুখ নিজেই নাকি ঐশ্বর্যর সঙ্গে কাজ করতে চাননি। তার কারণ অবশ্যই সালমান।
বেশ কয়েক বছর আগে সিণি গারেওয়ালের একটি টক শোতে ঐশ্বর্য রাইকে সরাসরি এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। সিমি শাহরুখের নাম নিয়ে তাকে প্রশ্ন করেন, “তোমাদের তো একসঙ্গে পাঁচটা ছবিতে কাজ করার কথা ছিল তাই না? বীর-জারা তোমার জন্যই তো লেখা হয়েছিল?” ঐশ্বর্য বলেন, আমার সঙ্গে কয়েকটি সিনেমা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কোনও কারণ ছাড়াই সেগুলো হচ্ছে না। কেন, সেই উত্তর আমার কাছে কখনও ছিল না।”
সিমি ঐশ্বর্যকে বলেন ছবি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কি তার ছিল? ঐশ্বর্য সঙ্গে সঙ্গে বলেন, “না এটা আমার সিদ্ধান্ত ছিল না।” তিনি এই ঘটনায় বড় আঘাত পেয়েছিলেন। এই সম্পর্কে বলিউড সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গিয়েছিল। তিনি আরও বেশি সচেতন হয়ে উঠেছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন এখানে অন্য লোকেরা ছবির উপর প্রভাব ফেলতে পারেন।
ঐশ্বর্যের কথায়, “এটা স্পষ্ট হয়ে উঠল যে আমার সঙ্গেও এরকম কিছু হতে পারে। আপনার সকল বক্স অফিস সাফল্য বা ইন্ডাস্ট্রিতে নিরাপদ অবস্থান থাকা সত্ত্বেও।” কাল হো না হো, বীরজারা, চলতে চলতে, এরকম পাঁচটি সিনেমা ঐশ্বর্যর হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তার বদলে ছবিতে স্থান পান রানী মুখার্জি। ইন্ডাস্ট্রির নোংরা রাজনীতিতে ঐশ্বর্যর কেরিয়ার ডুবলেও রানী মুখার্জির জয় হয়েছিল শেষ পর্যন্ত।