বলিউডের (Bollywood) সুপারস্টার ফ্যামিলির তালিকাতে কাপুর বংশের পর নাম উঠে আসে বচ্চন পরিবারের (Bachchan Family)। এই পরিবারের প্রায় সকলেই সুপারস্টার। অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে জয়া ভাদুড়ি বচ্চন, অভিষেক বচ্চন, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, প্রত্যেকেই বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কেবল অমিতাভ কন্যা শ্বেতা বচ্চন (Sweta Bachchan Nanda) অভিনয়ে পা রাখেননি।
অমিতাভ-জয়ার মেয়ে বলে কথা, সম্ভ্রান্ত বংশে বড় হলেও নিজের জীবন সম্পর্কে একটা সময় অনেক হীনমন্যতায় ভুগতেন শ্বেতা। নিজের সেই দুর্বিসহ দিনগুলির কথা সরাসরি সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছিলেন তিনি। তার আফসোস জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই তাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছিল। আর তাও সেটা মায়ের জোরাজুরিতে।
খুব অল্প বয়সেই শ্বেতার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল ব্যবসায়ী নিখিল নন্দার সঙ্গে। বিয়ের আগে তাকে যেমন টাকার জন্য মা কিংবা ভাইয়ের কাছে হাত পাততে হত, বিয়ের পর স্বামীর কাছে একইভাবে হাত পাততে তার ইচ্ছে হত না। নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার আগেই বিয়ে করাটা তার মোটেই ঠিক লাগেনি। তাই তিনি এখন মনে করেন মেয়েদের আগে স্বাবলম্বী হওয়া উচিত।
শ্বেতা তার মেয়ে নভ্যার একটি চ্যাট শোতে অংশগ্রহণ করতে এসে নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে অকপটে মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন নিজের জীবনে কিছু না করার আফসোস তাকে সব সময় তাড়িয়ে নিয়ে বেরিয়েছে। আর এর জন্য তিনি সবসময় নিজের মাকেই দায়ী করতেন। জয়া কখনও মনে করতেন না মেয়েদের স্বাবলম্বী হতে শেখানো উচিত।
ছোট থেকেই মেয়েকে কখনও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে দিতে চাননি জয়া। যখন তার টাকার প্রয়োজন হয়েছে তিনি অভিষেকের কাছে হাত পাততেন। এভাবেই তার কলেজ জীবন চলেছে। এবার তার বিয়ে হয় এবং তিনি মুম্বাই থেকে দিল্লিতে চলে আসেন। বিয়ের পর নিজের খরচাটুকু নিজে চালানোর সামর্থ্য ছিল না তার।
স্বামীর কাছে হাত পাততে লজ্জা করত, তাই দিল্লির একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে মাত্র তিন হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি চাকরি নেন। এতে তার আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছিল। তবে এখন বিভিন্ন পত্রপত্রিকাতে লেখালেখি করার সুবাদে শ্বেতার ভালই রোজগার হয়। সেই সঙ্গে তিনি একটি ব্যবসা চালু করেছেন। তার মেয়ে তাকে এই ব্যবসার কাজে সহায়তা করেন।