বলিউড (Bollywood) অভিনেতা আমির খানের (Aamir Khan) জন্য সময়টা এখন একদমই ভাল যাচ্ছে না। ‘পিকে’ ছবির পর থেকে বলতে গেলে তার তেমন কোনও হিট ছবি নেই। বহুদিন অপেক্ষা করার পর ২০২২ সালে মুক্তি পায় তার বহু সাধের ছবি ‘লাল সিং চাড্ডা’। এই ছবি বানাতে বলতে গেলে নিজের পকেট থেকে সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছিলেন আমির।
কিন্তু কয়েকশো কোটি টাকা ব্যয় করে তিনি যে ছবি বানান সেখান থেকে উপার্জন হয়েছে মাত্র কয়েক কোটি। ‘লাল সিং চাড্ডা’ আমিরের কেরিয়ারের সুপার ফ্লপ ছবি। এই ছবির এমন ভরাডুবির পর এখনই আর নতুন ছবি নিয়ে তিনি ফিরতে চান না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। আপাতত পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন আমির।
তবে আমির খানের কাছে এমন কিছু সম্পত্তি রয়েছে যেখান থেকে তিনি চাইলে আজীবন বসে খেতে পারবেন। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ জানলে অবাক হতে হয়। নয়টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, চারটি জাতীয় পুরস্কার এবং একটি AACTA পুরস্কার সহ অনেক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এছাড়াও বেশ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার নামের একাধিক সম্পত্তি।
সম্পত্তির কথা বলতে হলে প্রথমেই বলতে হয় বান্দ্রায় অবস্থিত আমির খানের পাঁচ হাজার বর্গমিটারের একটি অ্যাপার্টমেন্টের কথা। থাকার জন্য নয়, শুধুমাত্র পার্টি করতে এবং মাঝেমধ্যে নিরিবিলিতে সময় কাটানোর জন্য তিনি ৬০ কোটি টাকা দিয়ে এই এপার্টমেন্ট কিনেছেন। এছাড়া পাঁচগনিতে তার একটি খামারবাড়ি রয়েছে যার অর্থ মূল্য আকাশছোঁয়া।
প্রায় দুই একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই খামারবাড়ি কেনার জন্য আমির খান ৭ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন ২০১৩ সালে। এখন তার অর্থমূল্য প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া গোটা মুম্বাই শহর জুড়ে তার বেশ কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। মেরিনা, বেলা ভিস্তা এবং পালি হিলে তার নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি নাকি বেভারলি হিলস-এও ৭৫ কোটি টাকা দিয়ে সম্পত্তি কিনেছেন।
ফার্নিচার ভাড়া স্টার্টআপে প্রায় ২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন আমির। মার্সিডিজ বেঞ্জ, রোলস রয়েস এবং ফোর্ডের মত প্রায় ৯-১০টি দামি গাড়ি রয়েছে তার গ্যারেজে। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ এখন ২৩০ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার আশেপাশে। বিভিন্ন ব্র্যান্ড ইনডোর্সমেন্ট, টিভি হোস্টিং, চলচ্চিত্র নির্মাণ করে তিনি মাসে ১২ কোটি টাকা উপার্জন করেন।