বর্তমানে শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বের মধ্যে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় এগিয়ে আছেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। তার বাবা ধীরুভাই আম্বানির (Dhirubhai Ambani) গড়ে তোলা রিলায়েন্সের (Reliance) সাম্রাজ্যকে তিনি বাড়িয়ে তুলেছেন নিজের পরিশ্রম এবং প্রতিভার দ্বারা। ধীরুভাই আম্বানির দুই ছেলে মুকেশ এবং অনিল আম্বানির মধ্যে মুকেশ তার নাম রেখেছেন। দেশের বাইরেও তাদের ব্যবসা ফুলে ফেঁপে উঠছে।
অবশ্য এই সাফল্যের পেছনে বাবা ধীরুভাই আম্বানির অবদান কিছু কম নেই। তিনি নিজে বেশি দূর পড়াশোনা করতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু সন্তানদের পড়াশোনায় কোনও খামতি রাখেননি। আসলে পড়াশোনা বলতে তিনি শুধু পুঁথিগত বিদ্যা বুঝতেন এমনটা নয়। তিনি পড়ার বইয়ের পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তাটাও বুঝতেন।
ধীরুভাই আম্বানি চাইতেন তার ছেলেরা যেন পড়ার বইয়ের বাইরে বেরিয়ে গোটা বিশ্বকে চিনতে পারে। তিনি নিজে মাধ্যমিক পাস ছিলেন, কিন্তু ছেলের জন্য তিনি বিশেষ শিক্ষক নিযুক্ত করেছিলেন যাতে তিনি তাকে পড়াশোনা বাদে বাকি সমস্ত কাজে তৈরি করে দিতে পারেন। এমনই অভিনব ছিল তার শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি।
এই সম্পর্কে মুকেশ আম্বানি নিজেই একবার সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেন তাদের ছোটবেলায় তার বাবা পত্রিকাতে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন শিক্ষকের জন্য। সেখানে লেখা হয় এমন একজন শিক্ষকের প্রয়োজন যিনি স্কুলের বইয়ের বাইরে বাকি সব কিছুর শিক্ষা দেবেন মুকেশকে। আসলে তিনি এমন একজনকে চেয়েছিলেন যিনি তার সন্তানকে সাধারণ জ্ঞানের পাঠ দেবেন।
এমন শিক্ষক খুঁজেও পেয়েছিলেন ধীরুভাই। তিনি তার ছেলের জন্য নিযুক্ত করেন মহেন্দ্র ভাইকে। মহেন্দ্র মুকেশকে ব্যবহারিক জ্ঞান দিতেন। পুঁথিগত বিদ্যা শিক্ষা যেমন চলছিল তেমনি চলত, শুধু ছেলেকে মানুষের মত মানুষ করে তোলার জন্য তিনি আলাদা করে কিছু করতে চেয়েছিলেন। তিনি যে কতটা দূরদর্শী ছিলেন সেটা আজ প্রমাণিত।
ধীরুভাই আম্বানি ছোট থেকেই মুকেশ আম্বানিকে এমনভাবে গড়ে তুলেছেন যাতে তিনি ভবিষ্যতে একজন বড় মাপের সফল ব্যবসায়ী হতে পারেন। পুঁথিগত শিক্ষাটাই বড় কথা নয়, সমাজ এবং বিশ্ব সম্পর্কে পারিপার্শ্বিক জ্ঞান থাকাটাও জরুরী। তাই তো আজ মুকেশ আম্বানি আজ এতটা সফল হতে পেরেছেন।