বর্তমানে বাংলা সিরিয়ালগুলোর (Bengali Mega Serial) জি বাংলার (Zee Bangla) নিম ফুলের মধু (Neem Phuler Modhu) দর্শকদের অতি পছন্দের একটি সিরিয়াল হয়ে উঠেছে। এই সিরিয়াল অবশ্য শুরুর দিকে শাশুড়ি-বৌমার একঘেয়ে ঝামেলা দেখানোর কারণে দর্শকদেরযি থেকে সমালোচনা সম্মুখীন হয়েছিল। কিন্তু এখন ‘নিম ফুলের মধু’ যেভাবে যে ট্র্যাকে হাঁটছে তাতে গল্পটা বেশ ভালই উপভোগ করছেন দর্শকরা।
পর্ণার শাশুড়ি মা কিছুতেই ছেলের সঙ্গে বৌমার ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারছেন না। এই সুযোগে তাকে বুঝিয়ে সৃজনের সঙ্গে নিজের বোনের বিয়ে দিতে চায় মৌমিতা। তবে তার জন্য আগে পর্ণাকে সরানো দরকার। তাদের ষড়যন্ত্র টের পেয়ে পর্ণা একটা দারুণ পদক্ষেপ নেয়। বাড়িতে সে সতীন কাঁটা ব্রত করতে শুরু করে।
সৃজনকে নিয়ে তিন্নির অতিরিক্ত বাড়াবাড়িতে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে পর্ণা। তিন্নির জন্য তাদের দুজনের সম্পর্কে দূরত্ব বাড়তে থাকে। কিন্তু পর্ণা বুদ্ধিমতী মেয়ে, তাই দিদি শাশুড়ির পরামর্শে সতীন কাঁটা উপড়ে ফেলতে সে বাড়িতেই একটা পুজো রাখে। ব্রত করার সময় সে যে মন্ত্রটা পড়ে সেটা শুনে হেসে কুটোপাটি হয়েছেন দর্শকরা।
শুধু তাই নয়, খড় দিয়ে তিন্নির মত একটা প্রতিকৃতি বানিয়ে তাকে তিন্নির জামা-কাপড় পরিয়ে বেদম ঝাঁটাপেটা করে পর্ণা। এসব দেখে তিন্নি অস্থির হয়ে পড়ে। এরপর যখন ঠাকুর মশাইয়ের থেকে কালো টিকা বাড়ির প্রত্যেক সদস্যের কপালে ছোঁয়ানোর কথা হয় তখন তিন্নি বিপদের আশঙ্কায় বাড়ি ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে।
আসলে ঠাকুর মশাই বলে দিয়েছিলেন এই কালো টিকা সতীনের কপালে ছোঁয়ালে সমস্ত বদ রক্ত তার গলা দিয়ে বেরিয়ে যাবে। এটা বিশ্বাস করে তিন্নি বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ব্যাগ পত্র গুছিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে গুটি গুটি পায়ে পালানোর সময় তাকে ধরে ফেলে পর্ণা। কপালে টিকা ছোঁয়াতে গেলে দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সে।
এদিকে পর্ণার এমন সতীন তাড়ানো দেখে ভীষণ মজা পেয়েছেন দর্শকরা। ইদানিং তার ডায়লগ থেকে শুরু করে কীর্তি কারবার বেশ পছন্দ হচ্ছে তাদের। বুনো ওল শাশুড়ি, বড় জা এবং তার বোনের বিপরীতে পর্ণা একাই বাঘা তেঁতুল। তিন্নিকে বাড়ি থেকে তাড়িয়েই ছাড়লো সে।