জি বাংলার (Zee Bangla) ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu) সিরিয়ালটি দিনে দিনে দর্শকদের মধ্যে বেশ ভালই সাড়া পাচ্ছে। মা-বাবা-ভাইকে নিয়ে ছোট পরিবারে বেড়ে ওঠা পর্ণা যৌথ পরিবারের বউ হয়ে আসার পর কী কী সমস্যার মুখে পড়ে এবং বুদ্ধি দিয়ে কীভাবে তার থেকে বেরিয়ে আসতে পারে সেই ঘটনাক্রম যে দর্শকদের ভাল লাগছে তার প্রমাণ টিআরপি তালিকায় এই সিরিয়ালের (Bengali Mega Serial) প্রাপ্ত নম্বর।
পর্ণার শ্বশুরবাড়িতে প্রায় সকলে তাকে ভালবাসলেও তার শাশুড়ি মা কৃষ্ণা, বড় জা মৌমিতা ও তার বোন তিন্নি তাকে দুচোখে সহ্য করতে পারে না। পর্ণাকে বাড়ি থেকে বের করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে এই তিনজন। কৃষ্ণাকে হাত করে মৌমিতা এবং তিন্নি এবার চিরকালের মত সৃজনের জীবন থেকে পর্ণাকে সরিয়ে দিতে চায়।
মৌমিতার লক্ষ্য পর্ণাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে সৃজনের সঙ্গে তিন্নির বিয়ে দেওয়া। এই ষড়যন্ত্র সফল করার জন্য নতুন এক ফাঁদ পাতে তারা। শিবরাত্রির দিন মৌমিতা একজন তন্ত্র সাধিকা সেজে পর্ণাকে ভয় দেখায় এই বলে যে তার কপালে নাকি বৈধব্যযোগ আছে। যে কারণে এক বছর তাকে স্বামীর থেকে দূরে থাকতে হবে। যদিও পর্ণা এসবে বিশ্বাস করে না।
এরপর আবার দেখা যায় এই মিথ্যে ভবিষ্যৎবাণী সত্যি করার জন্য সিঁড়িতে তেল ঢেলে সৃজনকে বাড়িতেই দুর্ঘটনার মুখে ফেলার চেষ্টা করে মৌমিতা। এতে সৃজনের কপাল ফেটে যায়। এরই মধ্যে চ্যানেলের তরফ থেকে শেয়ার করা হয়েছে নতুন প্রোমো। সেখানে দেখা যাচ্ছে মৌমিতার ষড়যন্ত্র কিছুটা হলেও সফল হয়েছে।
সৃজন এবং পর্ণার মধ্যে মান-অভিমান শুরু হয়। কৃষ্ণা এবং মৌমিতা তখন তিন্নিকে বোঝায়, ‘‘বাবু আর পর্ণার মধ্যে ঝগড়া চলছে এই সুযোগ।” এরপর তিন্নি সৃজনকে কমলালেবু খাওয়াতে যায়। ঠিক তখনই সেখানে চলে আসে পর্ণা। তাকে দেখে রেগে মেগে সৃজন অফিসে বেরিয়ে যায়। পর্ণা তখন তিন্নিকে প্রশ্ন করে, “কি ব্যাপার বলতো, আজকাল শুধু সৃজনদা, সৃজনদা করছো?”
তিন্নি তখন সরাসরি তাকে বলে দেয়, “সৃজনদার বিয়েটা না আমার সাথেই হওয়ার কথা ছিল।” রেগে গেলেও মাথা ঠান্ডা রেখে পর্ণা তখন তার হাতে থাকা কমলালেবুর রস তিন্নির চোখে ছুঁড়ে মারে আর বলে, “সৃজন আমার বর তাই ঝগড়া করলেও আমি করব, কমলালেবু খাওয়াতে হলেও আমি খাওয়াব”। এদিকে এই প্রোমোতে পর্ণার এমন প্রতিবাদী মেজাজ দেখে দর্শকরা তো দারুণ খুশি। তারা গল্পের এই নতুন মোড়ের বেশ প্রশংসা করছেন।