জি বাংলার (Zee Bangla) ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu) সিরিয়ালটি দিনে দিনে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিচ্ছে। দত্ত বাড়ির বৌমা হয়ে আসার পর প্রতিনিয়ত যৌথ পরিবারের নিয়ম কানুনের সঙ্গে মানিয়ে চলছে পর্ণা। সেই সঙ্গে নিজের বুদ্ধি দিয়ে পরিস্থিতি সামলাচ্ছে সে। তবে শ্বশুরবাড়িতে এসে সে তার পাশে পেয়েছে ঠাম্মিকে। যেকোনও পরিস্থিতিতে ঠাম্মি সবসময় তার পাশেই রয়েছেন।
ধারাবাহিকের নাম যেমন ‘নিম ফুলের মধু, অর্থাৎ বিয়ের পর তেতোটুকু পেরোলে তবেই মিঠের হদিস মেলে, তেমনই পর্ণাকেও প্রতি পদে পদে শ্বশুরবাড়িতে বাধা পেতে হচ্ছে। বিশেষত তার শাশুড়ি মা কৃষ্ণা তাকে দুচোখে সহ্য করতে পারেন না। তবে খারাপের মধ্যেও ভাল খুঁজে নিচ্ছে পর্ণা। এভাবেই ভালো-মন্দ মিশিয়ে এগোচ্ছে ধারাবাহিকের গল্প।
কয়েকদিন ধরে এই সিরিয়ালের প্রত্যেকটি এপিসোড জুড়ে একটা চাপা উত্তেজনা থেকেছে। বিশেষ করে পর্ণা চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ঘটে চলেছে একটার পর একটা ঘটনা। কখনও দাগী গুন্ডাদের পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে সে, কখনও আবার নিজে একাই সাংবাদিকতা করতে গিয়ে আগুনের মধ্যে থেকে মানুষের জীবন রক্ষা করছে, তারপর বাড়িতে ফিরে এসে সংসারও সামলাচ্ছে।
সরস্বতী পূজার দিন বাড়িতে ছোটখাটো একটা অনুষ্ঠানের আয়োজনে ঘটে যায় বড় অঘটন। গুন্ডারা দত্তবাড়িতে বোমা ফেলে। আরেকটু হলেই ঠাম্মির ক্ষতি হয়ে যেত। কিন্তু পর্ণা তাকে শেষ মুহূর্তে রক্ষা করে। যদিও এরপর সে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে সে এমন চাকরি করবে না যাতে তার পরিবারের বিপদের সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এবারও পর্ণার পাশে দাঁড়ালেন ঠাম্মি।
পর্ণার সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন তিনি। কারণ একসময় তিনিও ডাকসাইটে সাহসী ছিলেন। দত্ত বাড়ির উপর বিপদ ঘনিয়ে এলে তিনিও রুখে দাঁড়ান। সৃজনের ঠাম্মি হেমনলিনী দেবী যখন নতুন বউ হয়ে দত্ত বাড়িতে আসেন সেই সময় বাড়িতে একবার ডাকাত পড়েছিল। তবে তিনি ভয় না পেয়ে বন্দুক হাতে ডাকাত তাড়িয়েছিলেন।
ঠাম্মির কাছে এমন সাহসিকতার গল্প শুনে অবাক হয়ে যায় পর্ণা। তিনি সাফ সাফ জানিয়ে দেন তার পর্ণা দিদিভাই চাকরি ছাড়বে না। অফিসের বস বাগচী বাবুর কাছে ইস্তফা দিতে গিয়েছিল পর্ণা। কিন্তু ঠাম্মি তখনই এসে ইস্তফার চিঠিটা ছিঁড়ে দেন। এভাবেই আরও একবার পর্ণার পাশে দাঁড়ালেন ঠাম্মি।