টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীর (Rachana Banerjee) মত সাফল্য জীবনে খুব কম মানুষেরই মেলে। যাতেই হাত দিয়েছেন, সোনা ফলিয়েছেন অভিনেত্রী। কেরিয়ারের শুরুতে নায়িকা হিসেবে টলিউড (Tollywood) এবং ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রি কাঁপিয়েছেন রচনা। তারপর অভিনয় থেকে বিরতি নিয়ে তিনি প্রবেশ করেন ছোটপর্দায়। এবারে আর অভিনেত্রী হিসেবে নয়, সঞ্চালিকা হিসেবে নিজের নতুন পরিচয় গড়ে তোলেন তিনি। সারা বাংলার কাছে তার নতুন পরিচয় হয় দিদি নাম্বার ওয়ান।
জি বাংলা দিদি নাম্বার ওয়ান মানেই রচনা ব্যানার্জী। এই রিয়েলিটি শোয়ের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে রচনার নাম। বিগত ১০ বছর ধরে বাংলার ঘরে ঘরে রচনা ব্যানার্জী যেন ঘরের মেয়েই হয়ে উঠেছেন। সদ্য ব্যবসায়ী হিসেবেও নিজের নতুন পরিচয় গড়ে তুলেছেন তিনি। একাধারে শাড়ির নতুন ব্যবসা, দিদি নাম্বার ওয়ানের সঞ্চালনা এবং সেই সঙ্গে সিঙ্গেল মাদার হিসেবে ছেলের দায়িত্ব পালন করছেন রচনা।
তবে এত কিছুর পরেও তার জীবনে রয়ে গিয়েছে কিছু আক্ষেপ। কেরিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দারুণভাবে সফল। তবুও একাধিক গোপন ইচ্ছাও থেকে গিয়েছে তার মনের মধ্যে। সম্প্রতি নিজের মনের গোপন ইচ্ছার কথা সকলের সামনে তুলে ধরলেন রচনা ব্যানার্জী। দিদি নাম্বার ওয়ানের সেটেই তিনি শেয়ার করলেন তার মনের মধ্যে জমিয়ে রাখা কিছু ইচ্ছার কথা।
যেমন রচনা জানিয়েছেন তিনি সকলের মত নিজের জীবনী লিখতে চান। সেই জীবনীর নাম হবে ‘আমার মন’। জীবনের যাবতীয় ভুল থেকে মানুষ শিক্ষা নেয়। তাই নিজের কোনও অভ্যাসে খুব বেশি পরিবর্তন আনতে চান না তিনি। এরপর তিনি জানিয়েছেন তার মনের সুপ্ত বাসনার কথা। দিদি নাম্বার ওয়ান ভগবানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা পোষণ করেন মনে।
রচনা বলেছেন যদি কখনও ভগবানের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয় তাহলে তিনি তাকে প্রশ্ন করবেন কেন ঈশ্বর তার বাবাকে ছিনিয়ে নিলেন? এছাড়া ছোটবেলায় শাহরুখ খান, সালমান খান, অমিতাভ বচ্চন এর সঙ্গে অভিনয় করার ইচ্ছে ছিল তার। সেসব ইচ্ছাও পূরণ হল কই? যদিও রচনা অবশ্য ‘সূর্যবংশম’ ছবিতে অমিতাভের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। তবে একটিমাত্র ছবিতে অভিনয় করে তার মন ভরেনি।
বলিউডে না হোক, ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিতে সিদ্ধান্ত মহান্তির সঙ্গে এবং বাংলাতে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জীর সঙ্গে তার জুটি আইকনিক হয়ে থেকে যাবে। রচনা আজ নিজেই একজন সেলিব্রেটি। তবে তার বেশ কিছু সেলিব্রিটি ক্রাশ রয়েছেন। তাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হলে সেলফি তুলতে চান রচনা। নিজের মনের এই গোপন বাসনাগুলির কথা ক্যামেরার সামনে সকলের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছিলেন রচনা।