প্রায় ৮ বছর পর আবার টেলিভিশনের পর্দায় ফিরতে চলেছে জনপ্রিয় ’রাজযোটক’ জুটি। ২০১৪ সালের এই সিরিয়ালের হাত ধরেই বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়াতে পা রেখেছিলেন অভিনেত্রী মিশমি দাস (Mishmee Das)। তার বিপরীতে এই সিরিয়ালে নায়ক ছিলেন বিশ্বজিৎ ঘোষ। বিশ্বজিৎ এবং মিশমির এই জুটিটা দর্শকরা আজও মিস করেন। এতদিনে তাদের অপেক্ষার অবসান হল।
‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ এর পর মিশমির হাতে এসে গিয়েছে নতুন কাজের সুযোগ। সিরিয়ালেই আবার বিশ্বজিতের নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়ে গেলেন মিশমি। জি বাংলার (Zee Bangla) খেলনা বাড়ি (Khelna Bari) ধারাবাহিকে এন্ট্রি হয়েছে তার। এই ধারাবাহিকের নায়ক ইন্দ্রর প্রথম স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করবেন মিশমি। তবে তিনি কিন্তু এই সিরিয়ালের প্রধান লিড নন। বরং সেকেন্ড লিড হয়ে অভিনয় করার সুযোগ পেলেন।
বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং আরাত্রিকা মাইতির খেলনা বাড়িতে এন্ট্রি হল মিশমির। খুব স্বাভাবিকভাবেই ইন্দ্র এবং মিতুলের জীবনে নতুন ঝড় নিয়ে এসেছে তার এই চরিত্রটি। ইন্দ্র এবং মিতুল বিয়ে করে তাদের একমাত্র সন্তান গুগলিকে নিয়ে এখন সুখে সংসার করছে। আচমকাই ইন্দ্রর প্রথম স্ত্রীয়ের আগমন ঘটে গেল। মিতুল আর ইন্দ্রের মাঝে দেওয়াল তুলতে আসছে ইন্দ্রর প্রথম স্ত্রী অন্তরা।
জীবনের প্রথম নায়কের সঙ্গেই আবার অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে দারুণ খুশি মিশমি। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি জানিয়েছেন, “জীবনের প্রথম নায়ক। স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজিত লাগছে।” তবে এই সিরিয়ালেও ধূসর চরিত্রেই তার দেখা মিলবে। এতে অবশ্য মিশমির সাফাই, “প্রথম স্ত্রী যদি ফিরে এসে দেখেন তার স্বামী আরও একটা বিয়ে করেছেন, তাতে তার বিরক্ত হওয়াটা স্বাভাবিক নয় কি?”
একসময় বাংলা সিরিয়ালে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করে সুযোগ পেতেন তিনি। এখন শুধুই খলনায়িকা কিংবা সেকেন্ড লিড হয়েই থাকতে হচ্ছে তাকে। এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। তিনি জানিয়েছেন কোনও সিরিয়ালের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করার সময় তাকে প্রতিদিন ২২ থেকে ২৩ ঘন্টা কাজ করতে হত। এভাবে কাজ করতে তিনি পারছিলেন না।
মিশমি জানিয়েছেন এই কারণেই মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা প্রায় ছেড়েই দেন তিনি। তবে এখন অবশ্য ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ম অনেক বদলে গিয়েছে। কিন্তু তার আফসোস এই যে ইন্ডাস্ট্রি তাকে টাইপ কাস্ট করে দিচ্ছে। পরিচালকরা তাকে দেখে শুধু নেতিবাচক চরিত্রের কথাই ভাবছেন। অভিনেত্রী নিজেও আবার নায়িকা হিসেবে ফিরতে চান। শুধুই খলনায়িকা বা সেকেন্ড লিডের ঘেরাটোপে নিজেকে আটকে রাখতে চান না।